নেশা করিয়ে ১২ বছর বয়সের এক কিশোরীকে ৪ বন্ধুর ধর্ষণ

প্রকাশিত : ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ছবি : সংগৃহীত

সকালে থানায় গিয়েই কাঁদতে শুরু করে ১২ বছর বয়সের এক কিশোরী। প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা সান্ত্বনা দিতে থাকেন কিশোরীকে। পরে জানতে পারেন, মেয়েটিকে মদপান করিয়ে গণধর্ষণ করেছে তারই চার বন্ধু। গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের মোমিনপুরের ভূকৈলাশ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেখান থেকে শুক্রবার সকালে পর্ণশ্রী থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে ওই কিশোরী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনে জানানো হয়েছে, মোমিনপুরের একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে প্রথমে মদপান করানো হয়। এরপর চার যুবক মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। অভিযোগের কয়েক ঘণ্টা পরই পর্ণশ্রী থেকে অমরজিৎ চৌপাল ও মনোজ শর্মা এবং একবালপুর এলাকা থেকে বিকাশ মল্লিক ও হৃত্বিক রাম নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অমরজিৎ ও মনোজের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় ছিল সপ্তম শ্রেণির ওই কিশোরীর। তারা পর্ণশ্রীর বাসিন্দা। জানা গেছে, অভিযুক্তদের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে কেউ ছোটখাটো কাজ করে, কেউ আবার বেকার।

পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী কিশোরী বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে জানায়, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে। কিন্তু এদিন সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও সে বাড়িতে ফেরে না। বাড়ির লোকজন রাত ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মেয়েকে খোঁজেন। কোথাও না পেয়ে পর্ণশ্রী থানায় গিয়ে মিসিং ডায়েরি করেন। এদিকে শুক্রবার সকাল ১১টার সময় মেয়েটি নিজেই পর্ণশ্রী থানায় চলে আসে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে জানায়, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে মোমিনপুরে যায় সে। সেখানেই তার সঙ্গে আরও দুই যুবকের পরিচয় হয়।

তারা জানায়, ভূকৈলাশ রোডে তাদের একটি অনুষ্ঠান আছে। সেখানে তারা একসঙ্গে সময় কাটাবে। প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় মেয়েটি। সেখানেই একটি ঘরে ওই যুবকরা নিজেরা মদ্যপান করে। এক সময় পানির সঙ্গে মদ মিশিয়ে জোর করেই খাওয়ানো হয় ওই কিশোরীকে। পরে ওই কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে, তার ওপর শুরু হয় যৌন নির্যাতন। সকালে উঠে কিশোরী পুরো বিষয়টি বুঝতে পারে। নিজেই ফিরে আসে পর্ণশ্রীতে। কোনো ভয় না পেয়েই অভিযোগ জানাতে সোজা চলে যায় থানায়।

ঘটনাস্থল পর্ণশ্রীতে নয়। তবু পুলিশ পর্ণশ্রী থানায় ‘জিরো এফআইআর’ করে। সেখান থেকে মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় একবালপুর থানায়। জানা গেছে, কিশোরী যেখানে প্রথমে গিয়েছিল, সেটি দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায় পড়ে। কিন্তু ঘটনাস্থল একবালপুর থানায়। তাই পর্ণশ্রী থানা, দক্ষিণ বন্দর থানা ও একবালপুর থানার কর্মকর্তারা একজোট হয়ে তদন্ত শুরু করেন। পরে এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

আপনার মতামত লিখুন :