বর্ণাঢ্যভাবে জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর ২০২০

জাতীয় শ্রমিক লীগের গৌরবজ্জ্বল আন্দোলন, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা সকাল ০৯.০০ টায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩২ নং ধানমন্ডিস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং শপথবাক্য পাঠ এবং বর্ণাঢ্য র‌্যালী করেন।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এম.পি। শপথবাক্য পাঠ করান বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান সিরাজ। উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ হাবিবুর রহমান আকন্দ, এ্যাড. মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ শামসুল আলম মিলকী, আমিনুল ইসলাম, আলহাজ্ব কাউসার আহম্মেদ পলাশ, মোঃ শাহাবুদ্দিন মিয়া, এসএম সেলিম আনসারী, এটিএম ফজলুল হক, মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া, মোঃ মোতালেব হাওলাদার, জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বরকত খান, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম সফিউল আলম বুলু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ সহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, অঞ্চল শাখা, যুব কমিটি-মহিলা কমিটি, বিভিন্ন জাতীয় ইউনিয়ন, বেসিক ইউনিয়ন, ক্র্যাফট ফেডারেশন, থানা ও ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দ।

র‌্যালী পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধান অতিথি বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর বাংলার শ্রমজীবী মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি আরো বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল ও দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার জন্য একশ্রেণীর কুচক্রি মহল নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়ন, লুটপাট সহ নানাবিধ অপকর্ম ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্ষণমুক্ত, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ মুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্ষকসহ সকল প্রকার অপরাধীদের যথাযথ বিচার নিশ্চত করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাবিবুর রহমান সিরাজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই জাতীয় শ্রমিক লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা যেমনিভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরেুদ্ধে আন্দোলন করেছি এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অস্ত্র হাতে নিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছি, তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধু’র কন্যা জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজপথে থেকে দুই দুইটি স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছি। আগামী দিনেও রাজপথে থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা সকল প্রকার ষড়যন্ত্র চক্রান্ত রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ- সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :