গুজব-গণপিটুনি রোধে হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

প্রকাশিত : ১ মার্চ ২০২০

গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনির নামে মানুষ হত্যা বন্ধে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (১ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেন। ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।

হাইকোর্টের পাঁচ দফা নির্দেশনা হলো:

১. পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল অফিসার (এএসপি) তার অধীনের প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে ৬ মাসে অন্তত একবার গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠক করবেন।

২. গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেনতা তৈরির লক্ষ্যে গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনো ধরনের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি যে দুষ্কৃতকারীরা এই কাজে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৪. যখনই গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটবে কোনোরকম দেরি না করে তখনই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবে এবং তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করবেন।

৫. গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনায় ঢাকার জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবহেলার ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

গুজব ছড়িয়ে দেশজুড়ে একের পর এক গণপিটুনিতে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটে। গত বছরের ২০ জুলাই মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলে যায় রেনু। সেখানে তাকে ছেলেধরা সন্দেহে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :