বিদিশা, এরিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০২১

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের ফ্ল্যাট নিয়ে সাবেক স্ত্রী বিদিশা ও ছেলে এরিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে সাবেক হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা ও তার স্ত্রী জিন্নাতুন নাহার শিমু বাদী হয়ে গতকাল সোমবার আদালতে মামলাটি করেছেন। মামলাটি শুনানির জন্য আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ২১ আগস্ট ১ নম্বর বিবাদী বিদিশা সিদ্দিক সাবেক স্বামী এইচ এম এরশাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও অবজ্ঞা করে প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় ওঠেন এবং ২ নম্বর বিবাদী শাহাতা জারাব এরশাদকে (এরিক) নিজের গর্ভজাত সন্তান হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে এবং বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন। ১ নম্বর বিবাদী বিদিশা সিদ্দিক বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের ফ্ল্যাটটি ২ নম্বর বিবাদী শাহাতা জারাব এরশাদের (এরিক) মর্মে দাবি করছেন। গত ৭ জুন ফ্ল্যাটটি বাদীকে খালি করে দেওয়ার জন্য বলেছেন।

এজাহারে আরো বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকের দুই পুত্র সন্তানের জন্ম তারিখ ও পিতার পরিচয় নিয়ে বড় ধরনের গোলক ধাঁধাঁ দেখা দিয়েছে। জন্মনিবন্ধন সনদে দেখা গেছে, দুই পুত্র শাহাতা জারাব এরশাদ (এরিক) এবং এরিক ওয়েন হুইসনের জন্ম ২০০১ সালের ১১ মার্চ। জন্মস্থান ঢাকা। অর্থাৎ দুই সন্তানের জন্ম হয়েছে একইদিনে। অথচ শাহাতা জারাব এরশাদের (এরিক) পিতার নাম লেখা হয়েছে এইচ এম এরশাদ এবং এরিক ওয়েন হুইসনের পিতার নামের ঘরে লেখা আছে পিটার স্টুয়ার্ট হুইসন। পিতা দুজন হওয়ায় বড় ধরনের প্রশ্ন সামনে উঠে এসেছে। আর জন্ম নিবন্ধনে দুই পুত্রের জন্ম ঢাকায় বলা হলেও বিদিশার পাসপোর্টের বিদেশ সফরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তিনি ওইদিন ছিলেন সিঙ্গাপুর। এছাড়া শুধু সন্তান নয়, বিদিশা তার নিজের জন্ম তারিখ নিয়েও দু’রকম তথ্য দিয়েছেন।

বলা হয়, এইচ এম এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মারা যাওয়ার ৪ মাসের মাথায় নভেম্বরে বিদিশা ও ২ নম্বর বিবাদী প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় ওঠেন। শাহাতা জারাব এরিকের পিতৃপরিচয় নিয়ে এরকম চাঞ্চল্যকর তথ্য অমীমাংসিত থাকা অবস্থায় ওই বাসায় বিদিশা সিদ্দিক অনেকটা নির্বিঘ্নে সময় পার করছেন।

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, ২০০৫ সালের ৩ জুন বিদিশাকে তালাক নোটিশ পাঠান এরশাদ। অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তালাক সংক্রান্ত সালিশি কেস নম্বর ১৬৬৫/২০০৫। এ সালিশের মাধ্যমেই তালাক কার্যকর হয় ওই একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর। সে সময় এরশাদ-বিদিশার ছাড়াছাড়ি হলেও শিশুসন্তান শাহাতা জারাব এরিককে নিজের জিম্মায় রাখেন এরশাদ। কিন্তু এটা মেনে নিতে পারেননি বিদিশা। তালাকের ৫ বছর পর অর্থাৎ ২০০৯ সালে শাহাতা জারাব এরিককে নিজ জিম্মায় নিতে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন বিদিশা।

আপনার মতামত লিখুন :