বরিশালে ইউএনও-ওসির বিরুদ্ধে মামলা: পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে যেসব মামলার আবেদন করা হয়েছিল, সেগুলো গ্রহণ করেছেন আদালত। মামলাগুলো গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রোববার আদাল‌তের না‌জির কামরুল হাসান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইউএনও‘র বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সদরের ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা এবং কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাসসহ ১০৯ জনকে আসামী করে মামলার আবেদন করা হয়।

আজ রোববার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাসুম বিল্লাহর আদালতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন ও বিসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার দুটি মামলার আবেদন করেন।

বিষয়টি পরে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো: ইউনুস।আদালতে মামলা ফাইল করে শুনানি করলে আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লা মামলা আমলে নেন বলে নিশ্চিত করেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইয়ুম খান কায়সারও।

তিনি বলেন, ‘আদালত মামলা আমলে নিয়েছেন এবং কিছু সময় পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। এ দিকে ইউএনও মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মল্লিকের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ২২ জনের মধ্যে ১৮ জনের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। তাদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন, আনসার ও পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আহত হয়েছে শতাধিক। ওই ঘটনায় গুলিবর্ষণ করেন ইউএনও মুনিবুর রহমান। পরে তিনি ও এসআই শাহজালাল মল্লিক বিসিসি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে ৬০২ জনের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেন। মামলায় কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২২ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।