বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় ক্যাপ্টেন নওশাদ

প্রকাশিত : ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় মায়ের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়। দাফন শেষে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এদিন দুপুর ২টায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদরদপ্তর বলাকায় তার জানাজার নামাজ হয়।

জানাজায় অংশ নেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এছাড়া বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ তার নিকটাত্মীয় এবং বন্ধুরা জানাজায় অংশ নেন। এতে ইমামতি করেন বলাকা মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা কাইয়ুম। এর আগে তার মরদেহ ভারতের নাগপুর থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে (বিজি-০২৬) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ওমানের মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন তিনি। পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। চিকিৎসকরা জানান, ক্যাপ্টেন নওশাদকে সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

হার্ট অ্যাটাকেরও পরও মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানোয় প্রশংসায় ভাসেন পাইলট নওশাদ। তবে এটাই প্রথম নয়। ২০১৭ সালেও এমন বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন তিনি। সে সময় বাঁচিয়েছিলেন দেড়শ যাত্রীর জীবন। ওই ঘটনার স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। বৈমানিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএএলপিএ) প্রশংসাপত্র পেয়েছিলেন ৪৪ বছর বয়সে জীবন প্রদীপ নেভা এই বৈমানিক।

আপনার মতামত লিখুন :