বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, দুর্ভোগে ৫ হাজার পরিবার

প্রকাশিত : ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণ করতে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন র্বোড।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি উঠে গেছে। পাশাপাশি চর এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। প্রায় দুই হাজার পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ভাঙন থেকে বাঁচতে পারছেন না কেউই। নদীগর্ভে চলে গেছে হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রমজান আলীর বাড়ি। যা আছে তাই অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন তিনি। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ফসলি জমির ক্ষেত।

পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।

হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, হঠাৎ করে আবারো পানি বেড়ে তিস্তার চর এলাকায় শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চর সিন্দুর্না ও চিলমারীপাড়ায় প্রায় ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ জানান, ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত বিতরণ করা হবে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। তবে ভারতের বাঁধ খুলে দেয়ায় কি পরিমাণ পানি আসছে তা নির্ণয় করা যায়নি।

আপনার মতামত লিখুন :