হিন্দুদের ওপর হামলার জেরে বেগমগঞ্জ থানার ওসি বদলী: গ্রেফতার ১

প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর ২০২১

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে পূজামন্ডপ,মন্দির,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট এবং দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দাবির প্রেক্ষিতে বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে বদলী করা হয়েছে।নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদারকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে বদলী করা হয়েছে। তার স্থলে মীর জাহেদুলহক রনিকে অফিসার ইনচার্জ বেগমগঞ্জ হিসাবে পদায়ন করা হয়েছে।

অপর দিকে পূজামন্ডপ ও মন্দির ভাংচুরের মামলায় আব্দুর রহিম সুজন (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ এবং তার স্বীকারোক্তি মতে মন্দির থেকে লুণ্ঠিত লাক্স সাবান ৬টি, টুথপেস্ট ৬টি, দুধের পেকেটে ১টি, শ্যাম্পু ১৩টি, ম্যাক্সকেপ কপি ১টি, ডিটারজেন্ট পাউডার ৪টি, ভিম ডিসওয়াসিং ২টি, হুইল সাবান ১টি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহিম সুজন বেগমগঞ্জের করিমপুরের খালপাড় ইউসুফ মিয়ার বাড়ির মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লায় পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চৌমুহনী শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা চৌমুহনী ডিবি রোডে (ফেনী-নোয়াখালী সড়ক) গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকানপাট, মন্দির ও বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এ ঘটনায় নিহত হন যতন সাহা (৪২) ও প্রান্ত চন্দ্র দাস (২৬)। এরপর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে নোয়াখালীর, বেগমগঞ্জ থানার ওসি ও ইউএনওর প্রত্যাহার দাবি করে আসছেন।

আপনার মতামত লিখুন :