ঢাকার খিলক্ষেতে চিকিৎসকের মৃত্যু: পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যা

প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর ২০২১

ঢাকার খিলক্ষেতে ডাক্তার জয়দেব কুমারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার উত্তর মৃত রহস্য ক্রমেই ঘনিভুত হচ্ছে। সে সদ্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করেছিল। আজ শুক্রবার পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ হাাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান শোক সমবেদনা জানাতে ও অসহায় ও দরিদ্র পরিবারটির পাশে দাড়াতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর গ্রামের বাড়ী চন্ডিপুর ইউনিয়নের দক্ষিন শালন্দার কুমার পাড়া গ্রামে গেলে বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য তথ্য বেরিয়ে আসে। গগণ বিদারী আহাজারীতে ফেটে পড়ে ডাক্তারের মা শ্রমতী মিনা রানী দাস।

পরিবারের দাবী ডাক্তার জয়দেব কুমারের মৃত্যু স্বাভাবিক বা আতœহত্যা নয়, এটি একটি হত্যাকান্ড। তার মা শ্রীমতি মিনা রানী দাস জানান, তার ছেলের ল্যাপটপ পাওয়া যায়নি। সেটি উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার সাথে থাকা রুমমেট ডাক্তার কোথায়। তিনি অকাট্য একটি যুক্তি তুলে বলেন আমরা গরিব মানুষ ঢাকা যেতে দেরী হতেই পারে। আমরা পথিমধ্যে থাকা অবস্থা লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমাদের দেখতে দেওয়া হয়নি। তাকে কি অবস্থায় পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে সে ছুরতহাল আমাদের সামনে লেখা হয়নি। ভবনটিতে সিসি ক্যামেরা ছিলো, পুলিশ তা সিস করেনি। ডাক্তার জয়দেব কুমারের বাল্য শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, জয়দেব অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলো, সে অনেক দুঃখ-কষ্টের মধ্যে লেখাপড়া করেছে, তার আতœহত্যার প্রশ্নই উঠে না। তিনিও এটিকে একটি হত্যাকান্ড বলে দাবী করেন। গ্রামের যাওয়ার সাথে সাথে আশেপাশের গ্রাম থেকে হাজার মানুষের ঢল নামে। গোটা গ্রামের বাসিন্দা তার হত্যা রহস্য উদঘাটনের দাবী জানান।

ভাই গোপাল জানান, চলতি বছরের ১৪ জুন আমার ভাই জয়দেবকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একলোক ফোনে নানা রকমের প্রশ্ন করেছিল। যা তার অবস্থান জানার মতো। এসব তথ্য জীবিতকালে ডাক্তার জয়দেব বাবা-মা ও ভাইদের কাছে বলেছিল। তার বাবা দিলীপ চন্দ্র দাস বলেন, তার সাথে যে চিরকুট পাওয়ার কথা বলা হয়েছে সে লেখার সাথে আমার ছেলের হাতের লেখার কোন মিল নেই। ছোট ভাই নয়ন জানান, ল্যাপটপ ও সিসি ক্যামেরা উদ্ধারসহ দারোয়ান ও রুমমেটকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিলে আসল রহস্য বেরিয়ে পরবে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ১৬ অক্টোবর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি আবাসিক বাসা থেকে ডাক্তার জয়দেব কুমার দাসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেটি ছিলো খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ ২ এর ১৫ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাড়ীর একটি ফøাট। খিলক্ষেতের থানার উপপরিদর্শক রাসেল জানান, সন্ধিগ্ধ সকল দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত চলছে। আমরা পরিবারের কাছ থেকে ডাক্তারের পূর্বে হাতের কোন লেখা আছে কিনা চেয়েছি।

এ বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, উচ্চতর তদন্তে মাধ্যমে আসল রহস্য উদঘাটন হোক এটাই কামনা করছি। ডাক্তারের লেখাপড়ার জন্য সাবেক মন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ এ্যডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিমাস খরচ দিতেন এবং তার কন্যা ফারহানা রহমান মুক্তা ল্যাপটপটি কিনে দিয়েছিলেন জয়দেব অত্যন্ত মেধাবী হওয়ার কারনে।

আপনার মতামত লিখুন :