শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর ২০২১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ শনিবার ২৭ নভেম্বর ২০২১ইং তারিখ, সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে ও টিএসসি সংলগ্ন শহীদ ডা. মিলন চত্বরে (নিঝুম স্মৃতিস্তভে) অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর পরিবারবর্গসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ ছাড়াও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ ফারুক হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেএম তারিকুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের পিএস-২ সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলনের মহান আত্মত্যাগ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুর পর রাজপথে দুর্বার আন্দোলন শুরু হয় এবং তৎকালীন স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়। শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন পেশায় ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একজন গুণী শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বিএমএ-এর একটি সভায় যোগ দিতে রিকশাযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল)-এর দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংলগ্ন টিএসসি মোড় অতিক্রমকালে তাদের রিকশা লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৎকালীন এরশাদ সরকারের বাহিনী। বুকে গুলি লেগে রিকশা থেকে লুটিয়ে পড়েন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। সঙ্গে সঙ্গে রিকশায় করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে জরুরি বিভাগে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের সাহসী সৈনিক ডা. শামসুল আলম খান মিলনকে।

আপনার মতামত লিখুন :