অবশেষে ১৩ দিন পর সেই সার্জেন্টের মামলা নিলো পুলিশ

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাকায় গাড়ির ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্যের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় ১৩ দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ। আহতের মেয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বনানী থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তাতে চালকের সঙ্গে অজ্ঞাতনাম আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বনানী থানার ওসি নুরে আযম মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮ ও ১০৫ ধারায় করা মামলায় গাড়ির চালকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। গাড়িটি জব্দ করার ও আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে মামলা নিতে এতো দেরি করার কারণ জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এর আগে ২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে মোড় ঘোরার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মনোরঞ্জন হাজং। এসময় একটি  লাল রঙের বিএমডব্লিউ গাড়ি এসে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়েন। দুর্ঘটনার পর মনোরঞ্জন হাজংকে উদ্ধার করে রাজধানীর জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করে পুলিশ। দুই দফা অস্ত্রপচারের পর তার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে।

মনোরঞ্জন হাজং গুলশানের একটি রেস্তোঁরায় নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। দুর্ঘটনার পরদিন তার ডান পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সংক্রমণ ছড়ালে পরে আবারও অস্ত্রপচার করে ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়। হৃদরোগের পাশাপাশি ডায়েবেটিস রয়েছে ষাটোর্ধ্ব মনোরঞ্জনের। এসব স্বাস্থ্য জটিলতা বিবেচনায় পরে তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মনোরঞ্জনের একমাত্র মেয়ে ডিএমপি’র পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজং অভিযোগ করেন, তার বাবাকে ধাক্কা দেওয়া লাল রঙের বিএমডব্লিউ গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই গাড়িচালকের পিতা ‘প্রভাবশালী’ হওয়ায় থানা মামলা নেয়নি ।

ঘটনার পরদিন অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে রেখে তিনি মামলা করতে বনানী থানায় যান বলে জানান সার্জেন্ট মহুয়া। এসময় থানার একজন পরিদর্শক তাকে বিষয়টি নিয়ে ‘বেশি মাতামাতি করলে বিপদে পড়ে যাবা’ বলেও সতর্ক করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। সিনিয়র সহকর্মীর এমন কথা শোনার পর তিনি থানা থেকে চলে যান।

 

আপনার মতামত লিখুন :