ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ৫ ছাত্রীকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার

প্রকাশিত : ২ মার্চ ২০২৩

সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক ও সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার মতো কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়।

ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, শাখা ছাত্রলীগের কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, হালিমা খাতুন ঊর্মি, ইসরাত জাহান মিম ও মোয়াবিয়া জাহান।

বহিষ্কারাদেশ স্থায়ী কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘আমাদের উৎসগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বহিষ্কার করেছি। সবার সংশ্লিষ্টতা আছে এটা নিশ্চিত। এখন অপরাধ কতটুকু এটা তো বিবেচ্য বিষয়। এখানে তাদের ভুল বা অন্যায় যেটাই হোক, তার গভীরতার ভিত্তিতে স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে। এটা স্থায়ীও হতে পারে, নাও হতে পারে।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর র‌্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিম ও হালিমা খাতুন উর্মিসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগী। পরে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই দিন পৃথকভাবে শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে।

পরে সব তদন্তে অভিযুক্তদের নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়। হলের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আজ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :