ঢাকা বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিমকে প্রত্যাহার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:০৫ রাত

সড়কের এক লেইন বন্ধ রেখে রাজধানী ঢাকা থেকে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার ঘটনায় আলোচনায় আসা গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ডিআইজি নাজমুল করিম খানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জিএমপির পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়ে মঙ্গলবার পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করতে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠির বরাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে তাকে দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, এরকম নির্দেশের অর্থ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্বস্থল থেকে প্রত্যাহার বা সরিয়ে নিয়ে আসা।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে দুদফায় পদোন্নতি দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল জিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব পান ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর। গত ১ মে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হন।

গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার হলেও তিনি রাজধানী ঢাকায় থাকতেন। সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রে রাজধানী থেকে প্রতিদিন তার গাজীপুরে যাওয়া আসার সময়কালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উড়াল সড়কের একটি অংশ বন্ধ রাখার খবর প্রকাশিত হয়। এটি পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রতিবেদনেও উঠে আসে।

সেই খবরে বলা হয়, গাজীপুর যাওয়ার পথে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় উড়ালসড়ককে একমুখী করে দেওয়া হয়। আবার ফেরার পথে গাজীপুর থেকে ঢাকামুখী লেন বন্ধ করা হয়। এ খবরের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রাস্তা বন্ধ করে যাওয়ার বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়ার কথা সাত দিন আগে বলেছিলেন। ওই খবরে বলা হয়, ডিআইজি নাজমুল এক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত টাকায় কেনা একটি গাড়ি ব্যবহার করছিলেন। এ খবর প্রকাশের পর তার গাড়ি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিসিএস ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা মো. নাজমুল করিম খান পুলিশ সুপার থাকার সময় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চাকরি ফিরে পরপর দুটি পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি হন তিনি।

এরপর পুলিশ সদরে সংযুক্ত ছিলেন। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পুলিশ স্টাফ কলেজে ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তাকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার করা হয়।

Link copied!