অপরাধ প্রমাণিত হলে ১২ বছরের জেল হতে পারে সাবরিনার

প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০২০

করোনা পরীক্ষায় জাতিয়াতির ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। রোববার (১২ জুলাই) জিজ্ঞাসাবাদের শেষে করোনা পরীক্ষা জালিয়াতির মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এর আগে প্রতারণার ঘটনা নিজেকে বাঁচাতে গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। স্বামী আরিফের কুকীর্তির অন্যতম সহযোগী ছিলেন সাবরিনা, এমনটাই জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তেজগাঁও থানার প্রতারণার মামলায় সাবরিনাকে আগামীকাল (১৩ জুলাই) আদালতে তোলা হবে। সেখানে সাবরিনার ৪ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ। এদিকে সাবরিনার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির সাত ধারায় মামলা হয়েছে। ধারাগুলো হলো, ১৭০, ২৬৯, ৪২০, ৪০৬,৪৭১, ৪৮৬ ও ৩৪ ধারা। দেশের সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, এসব ধারার মধ্যে- ১৭০ ধারায় সরকারি কর্মকর্তার অপরাধে- ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। ২৬৯ ধারায় জনস্বাস্থ্য বিষয়কে কেন্দ্র জীবননাশসহ বিরূপ হস্তক্ষেপ করলে- ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড। ৪২০ ধারায় প্রতারণা করায়- ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।

এছাড়া ৪০৬ ধারায় বিশ্বাস ভঙ্গের শাস্তি- ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। ৪৭১ ধারায় প্রতারণা স্বরূপ সমান অপরাধের শাস্তি পাবে। ৪৮৬ ধারায় অননুমোদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করার সহ প্রভৃতির শাস্তি- ১ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। ৩৪ ধারায় আসামীদের পরস্পর যোগসাজশে অপরাধে সমান শাস্তির বিধান রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :