প্রাথমিক শিক্ষকদের শিক্ষা অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা

প্রকাশিত : ৬ জানুয়ারি ২০২১

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত ছুটি চলাকালে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় রোস্টার অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকবেন। তবে সন্তানসম্ভবা শিক্ষিকা ও অসুস্থ শিক্ষক-কর্মচারীদের বিদ্যালয়ে আসতে হবে না।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। এ দিকে, সোমবার (৪ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) খালিদ আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক স্মারকে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা সংবলিত স্মারকটি সকল বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, বই বিতরণ, উপবৃত্তি, ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা এবং শিশু জরিপ কাজে শিক্ষকদের উপস্থিত থাকতে হবে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং মোবাইলে পাঠদানে সহযোগিতার জন্য শিক্ষকদের উপস্থিত থাকা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক রোস্টার করে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। তবে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় থাকবে।

নির্দেশনায় যা রয়েছে :-

১. প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।

২. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুক শিশুদের কোনোরূপ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

৩. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার সকল শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ভর্তিচ্ছুক শিশুদের নাম, ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি রেজিস্টারে এন্ট্রি করে সংশ্লিষ্ট শ্রেণিতে ভর্তি করতে হবে।

৫. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত নির্দেশনা ও অনুশাসনসমূহ অনুসরণপূর্বক শিক্ষকগণ শিশুদের ভর্তি নিশ্চিত করবেন।

৬. অসুস্থ শিক্ষক/শিক্ষার্থী/কর্মচারী এবং সন্তানসম্ভবা শিক্ষিকাগণকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে বিরত রাখতে হবে। অসুস্থ শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়ে না আসার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করতে হবে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৭. কোভিড-১৯ এর কারণে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে সকল শিক্ষার্থী বিদ্যালয়বিহীন হয়ে পড়েছে, তাদের সকলকে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :