প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে একি বললেন ডিপিই

প্রকাশিত : ২১ মার্চ ২০২১

‘আগামী ২৪ মে থেকে কয়েক ধাপে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বিষয়ে ডিপিই মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে কোন তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এমন কিছু হলে অবশ্যই তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে- দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা চার ধাপে শুরু হবে আগামী ২৪ মে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। আগামী ২৪ ও ৩১ মে এবং ১৪ ও ২১ জুন সকাল ১০টায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সত্র জানায়, করোনার মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় একটি মহল একে পুঁজি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন তথ্য ছড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন) মনীষ চাকমা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিসিএসে পদের সংখ্যা ২ হাজার আর প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। মাঠ পর্যায়ে এমন কোনো নির্দেশনা নেই। এ বিষয়টি একদম প্রাথমিক স্তরে রয়েছে আমরা কবে করবো তাও জানি না। তবে এটাও ঠিক, নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে গুজবের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। তিনি আরও বলেন, প্রতারক চক্রের অভাব নেই। সারা দেশে বেশকিছু প্রতারক চক্র এভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে আসছে। তবে এ ধরণের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার না করতে আবেদনকারীদের অনুরোধ জানান তিনি।

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে পদের সংখ্যা উল্লেখ না থাকলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এর মধ্যে প্রাক–প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন, নিয়োগ দেয়া হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। এর আগে একই বছর ২০১৪ সালের স্থগিত পরীক্ষাটিও নেয়া হয়। ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ প্রার্থী। এর মধ্যে নিয়োগ দেয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে। এ দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত নির্বাচিত হননি ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী। উত্তীর্ণ এসব প্রার্থী ২০১০-২০১১ সালের মতো প্যানেল নিয়োগ চান। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, প্যানেলে নিয়োগ দেয়া হবে না। নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলো

আপনার মতামত লিখুন :