গলাচিপায় জমি নিয়ে বিপাকে বিধবা কমলা রানী


প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০২১

সজ্ঞিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি। পটুয়াখালীর গলাচিপার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গুয়াবাড়িয়া গ্রামের রানা বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে বিভিন্ন প্রকারের ফলজ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে যানা যায়, মৃত বিমল রানার স্ত্রী কমলা রানীর কোন পুত্র সন্তান নেই। তার ৬ মেয়েকে কমলা রানী অনেক কষ্টে বিবাহ দেন। কমলা রানীর সাথে পাশের বাড়ির লোকজনদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলতেছে। দুই বছর আগ থেকেই এই ঝামেলা চলে আসছে এবং অনেকবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়লা সালিশ মিমাংসার জন্য বসলেও তার কোন সুরাহা করতে পারেননি।

ইউপি সদস্য নিখিল মোল্লার কাছে এই বিষয় জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোন জানান, লোকজন কাউকে তোয়াক্কা করেন না।উত্তর ছোনখোলা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদারের সাথে কথা বলে যানা যায়, বিগত দিনে এই দুই পরিবারের সাথে জায়গা জমি নিয়ে একটা মামলা হয়েছিল। সেই মামলা নিম্ন আদালত গ্রাম্য আদালতে পাঠান এবং চেয়ারম্যান নোটিস দিয়ে দুই পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির করেন।

কিন্তু উভয় পক্ষই কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মৃত বিমল রানার স্ত্রী কমলা রানীকে ও পাশের বাড়ির লোকজনকে কাগজপত্র নিয়ে এক মাসের মধ্যে পুনরায় দেখা করতে বলেন। করোনার কারণে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে একটু দেরি হয়। এদিকে পাশের বাড়ির লোকজন ১৬ই আগস্ট কমলা রানীর ভিটে বাড়ির পুকুর পাড়ের বাগানে থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ কেটেছে। শৈলেন নামে একজন যানান, তাৎক্ষণিক চেয়ারম্যানকে না পেয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানকে জানাই।

ভুক্তভোগী কমলা রানী বলেন, পাশের বাড়ির লোকজন আমার পুকুর পাড়ের বাগানে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ থেকে ৩৫টি ফলজ গাছ কেটে ফেলেছে এবং আমাকে মারধর করতে আসে। আমার স্বামীর ভিটিতে থাকতে দিবে না বলেও হুমকি দেয়। আমি একজন বিধবা অসহায় মানুষ তারা আমার উপর অনেক অত্যাচার করে। আমি এর বিচার চেয়ে গলাচিপা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটা মামলা করি। এ বিয়য়ে পাশের বাড়ির লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জায়গাগ আমরা গাছ কেটেছি। তারা যদি কাগজে পায় তাহলে আমি দিয়ে দেব।

আপনার মতামত লিখুন :

এই বিভাগের সর্বশেষ