অবশেষে ঝুঁকি নিয়ে আজ খুলছে স্কুল-কলেজ

প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনা পরিস্থিতিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার খুলছে স্কুল-কলেজ। দেশব্যাপী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস রয়েছে তেমনি স্বাস্থ্যবিধি ও সংক্রমণ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেক অভিভাবক। যদিও স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার আগে সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে দফায় দফায় নির্দেশনা। এরই মধ্যে বন্যা পরিস্থিতিতে প্রায় সাত শতাধিক স্কুল-কলেজ পাঠদানে যেতে পারছে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্প্রতি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। একই শঙ্কা প্রকাশ করেছে জনস্বাস্থ্যবিদ ও অভিভাবকদের একাংশ। যদিও তারা চান স্থবির শিক্ষাব্যবস্থা আগের অবস্থায় ফিরে আসুক।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি অন্তত ৮০ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীকে টিকাদানের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কমিটি মনে করছে, করোনার শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার নজির রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বেলায় এই শঙ্কা আরও বেশি। তবে গতকাল শনিবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জামালপুরে বলেছেন, ‘সংক্রমণ বেড়ে গেলে ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ একই দিন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক সিলেটে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বসে টিফিন খেতে পারবে না।’ একই সঙ্গে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অভিভাবকদের ভিড় না করার অনুরোধ করেন তিনি।

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, করোনার কারণে ৫৪৩ দিনের বন্ধে অসংখ্য শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। অনেকের বাল্যবিয়ে হয়েছে। শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থী। তাদের অনেকের জন্য স্থায়ীভাবে বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। ইন্টারনেট প্রযুক্তির দুর্বলতায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা শহরের চেয়ে ব্যাপক পিছিয়ে পড়েছে। অনলাইন দুনিয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকে বিপথে চলে যাচ্ছে। এসব বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তিগ্রাহ্য। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে দক্ষতা ও কর্মমুখী শিক্ষা দ্রুত চালু করা হবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আশা, করোনায় শিক্ষার ওপর দিয়ে যে ধকল গেছে স্কুল-কলেজ খোলার পর তা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে।

করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে করা হয় ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এক সপ্তাহ আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। একই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি হিসেবে ১৯টি নির্দেশনা জারি করে মাউশি। এসব নির্দেশনা মেনেই প্রস্তুতি নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। একই সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জন্য আলাদা করে ১৬ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রঙিন হয়ে উঠেছে রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : গতকাল শনিবার রাজধানীর কয়েকটি বিদ্যালয় ও কলেজ ঘুরে দেখেন এই প্রতিবেদক। তার একটি ধানম-ির গভর্নমেন্ট বয়েজ হাইস্কুল। স্কুল প্রাঙ্গণে পা রাখতেই দেখা গেল কর্মব্যস্ততা। কেউ বেঞ্চ-টেবিল পরিষ্কার করছেন, কেউ এগুলোয় জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছেন, কেউ আবার স্কুল প্রাঙ্গণে টাঙিয়ে দিচ্ছেন সচেতনতামূলক বিভিন্ন ব্যানার। ঢাকায় এখন করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপও বেড়েছে। সেই বিবেচনায় কোথাও যাতে এডিস মশার লার্ভা থাকতে না পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে কর্র্তৃপক্ষ।

ইস্কাটন গার্ডেন হাইস্কুলেরও একই দৃশ্য। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাজের তদারকি করছেন প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘স্কুল খোলার প্রস্তুতি হিসেবে যাবতীয় কাজ শেষ। সরকারের নির্দেশনা মেনে প্রতিটি বিষয় বাস্তবায়ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সব শিক্ষক-কর্মচারী টিকা নিয়েছেন, বিশেষ করে হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্কুল প্রাঙ্গণে হাত ধোয়া ও তাপমাত্রা পরিমাপ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনাকালে রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক আমেনা বেগম। যোগদানের পর এখনো শ্রেণিকক্ষে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাননি তিনি। দীর্ঘদিন পরে হলেও কলেজ খোলার খবরে উচ্ছ্বসিত এই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাণ। দীর্ঘদিন পর কলেজ খুলবে, আমরা শিক্ষার্থীদের দেখব, ক্লাস করাব, এ এক অন্য রকম আনন্দ।

গ্রামের শিক্ষার্থীরা বেশি আনন্দিত:  দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার কালিকাপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আর রাফি সরকার। টানা দেড় বছর প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তার বিরক্তির শেষ নেই। গতকাল মোবাইলে বলে, ‘গ্রামে ইন্টারনেট নেই, প্রযুক্তি নেই। শহরের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলেও আমরা পিছিয়ে পড়েছি। স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনা গোল্লায় গেছে। আমাদের মতো আমাদের অভিভাবকরাও চিন্তিত ছিলেন। এখন বিদ্যালয় খোলায় আশা দেখতে পাচ্ছি।’ সিলেটের বিশ্বনাথের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আব্দুল মতিন বলেন, ‘এই দেড়টা বছর আমার দুশ্চিন্তায় পার হইছে। গ্রামে তো শহরের মতো করোনা নাই। এরপরও আমাদের বাচ্চাগুলোর ক্ষতি করা হলো। অনেক বাচ্চা পড়াশোনাই ছেড়ে দিয়েছে। স্কুল খোলার খবরে আমাদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। পরিস্থিতি যাহোক বিদ্যালয় আর কোনোভাবেই যাতে বন্ধ না হয়।’ সুনামগঞ্জের একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জয়ন্ত সাহা বলেন, ‘করোনায় স্থবির শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সরকার নানা কৌশল নিয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কতটুকু হয়েছে। শহরের মা-বাবা শিক্ষিত, তারা না হয় পড়াতে পারে; কিন্তু গ্রামের বাচ্চাদের কী অবস্থা, সেটা কতজন ভেবেছে? আমরা মনে করি গোটা দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেয়ে উত্তম সমাধান আর কিছুই হতে পারে না।

উদ্বিগ্ন ইংলিশ মিডিয়ামের অভিভাবকরা : শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শতভাগ টিকার আওতায় না এনে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম প্যারেন্টস ফোরাম। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুর সাকলায়েন বলেন, ‘আমরা স্কুল, কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে আমরা চাই আমাদের বাচ্চাদের টিকা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের আশঙ্কা, টিকা না দিয়ে স্কুল খুলে দিলে পরিস্থিতি ম্যাসাকার হবে। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেওয়ার পর পাঁচ লাখ শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।’

স্কুলে ফেরাই হবে না যাদের : ঢাকার পশ্চিম ধানম-ির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম ছিন্নমূল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নাম থেকেই বোঝা যায় এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সামাজিক অবস্থান। এই বিদ্যালয়ে গত বছর চতুর্থ শ্রেণিতে উঠেছিল সিয়াম আহমেদ। বর্তমানে তার পেশা লেগুনাচালকের সহকারী। গতকাল কথা হয় সিয়ামের সঙ্গে। সে জানায়, তার বাবা নেই, মা গৃহকর্মী। তার আয়ের ওপর পরিবারের খাওয়া-পরা নির্ভর করছে। রায়েরবাজারের একটি মাছের দোকানে মাছ কাটার কাজ করে আরেক কিশোর আরাফাত ইসলাম। সে পড়ত ক্লাস সিক্সে। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় মাছের দোকানে কাজ নেয় সে। দৈনিক আয় ২৫০ টাকার মতো। আরাফাত বলেছে, তার আর স্কুল যাওয়া হবে না। পরিবার এখন তার আয়ের ওপর নির্ভর করতে শুরু করেছে। এখন হঠাৎ আয় বন্ধ করে দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (বিআইজিডি) ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে চলে গেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়।

প্রাথমিকের জন্য নির্দেশনা : সরাসরি শ্রেণি পাঠদানের আগেই শিক্ষকরা অভিভাবকদের সঙ্গে মোবাইল ফোন অথবা ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরের (এসওপি) জরুরি তথ্য অবহিত করবেন। গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনায় জানানো হয়, কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি ও পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত একটি এসওপি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

ওই এসওপি অনুসারে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরাসরি পাঠদান করার আগে অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের মোবাইল ফোন, ভার্চুয়াল মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে ‘করণীয় ও বর্জনীয়’ বিষয়, সঠিকভাবে মাস্ক পরার নিয়ম, যেসব শিক্ষার্থীর কভিড-১৯ রোগের লক্ষণ থাকবে তাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে থাকা এবং তাদের সেবা-শুশ্রূষা করার নির্দেশনা প্রদান, যেসব শিক্ষার্থী কভিড-১৯ রোগের লক্ষণ নিয়ে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে থাকবে, তাদের অনুপস্থিতি হিসেবে গণ্য হবে না, এসব তথ্য অভিভাবকদের অবহিত করবেন।

‘সংক্রমণ বাড়লে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে’: গতকাল জামালপুর সার্কিট হাউজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ফলে সংক্রমণ বেড়ে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের পরিবারে কেউ করোনা সংক্রমিত হলে তাকে বিদ্যালয়ে না যাওয়ার অনুরোধ করেন দীপু মনি। বছরের শেষভাগে এসএসসি ও এইচএসসির পাশাপাশি পঞ্চমের প্রাথমিক সমাপনী, অষ্টমের জেএসসি-জেডিস এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

হোস্টেল খুলতে ১৪ নির্দেশনা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হোস্টেল চালু ও পরিচালনার ক্ষেত্রে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। সুতরাং হোস্টেল চালুর ক্ষেত্রে কভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসাসংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

মাউশির ১৪ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে কভিড আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে ফল নেগেটিভ হলেই হোস্টেলে আসা যাবে; একাধিক শিক্ষার্থী একই বিছানা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে; একসঙ্গে নামাজ, প্রার্থনা, সমাবেশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশনা মেনে চলবে; হোস্টেলে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে; দিনে ও রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে; ডেঙ্গু সংক্রমণ ও এডিস মশা বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে; একজনের ব্যক্তিগত ব্যবহারসামগ্রী বা শিখনসামগ্রী অন্যজন ব্যবহার করতে পারবে না; আবাসিক শিক্ষার্থী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারী ছাড়া অন্য কেউ হোস্টেলে অবস্থান বা যাতায়াত করতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রমে ফেরানো এবং প্রাতিষ্ঠানিক অন্যান্য কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে রবিবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :