উইচ্যাটে প্রেম চুয়াডাঙ্গার মুনকে বিয়ে করলেন চীনা নাগরিক সাউই চুই

প্রকাশিত : ১৪ জুলাই ২০২৩

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে ছুটে এসেছেন সেদেশের নাগরিক সাউই চুই (২৮)। গত ৩০ জুন ঢাকায় বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে ফারিয়া সুলতানা মুনের (২০) সঙ্গে চীনা নাগরিক সাউই চুই এর বিয়ে সম্পন্ন হয়।সোমবার (১০ জুলাই) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে নিজেদের বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে যান মুন। সাউই চুই সেখানে তিন দিন থেকে বুধবার (১২ জুলাই) রাতে ঢাকায় ফিরেছেন।

স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে চীনা যুবক সাউই চুইয়ের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে পরিচয় হয় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের দিনমজুর শফিকুল ইসলামের মেয়ে ফারিয়া সুলতানা মুনের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনের মধ্যে প্রায় সাত থেকে আট মাস উইচ্যাটের মাধ্যমে কথোপকথন হয়। এক সময় চীনা যুবক মুনকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি দুজনের পরিবারও জানতো। এরই একপর্যায়ে সাউই চুই চীন থেকে ঢাকায় এসে ফারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং ঈদুল আজহার পর দিন ওই চীনা নাগরিকের বোনের উপস্থিতিতেই তাদের বিয়ে হয়।

প্রতিবেশীরা জানায়, অন্য সব বিয়ের চেয়ে এটি ছিল ভিন্ন একটি বিয়ে। কারণ ভিনদেশি ছেলে আর দেশি মেয়ের বিয়ে। আনন্দ ও উল্লাস ছিল আলাদা। আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ বিদেশি জামাইকে দেখার জন্য ভিড় করে।

মুনের মা আন্জুরা বেগম বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে আমার মেয়ের সঙ্গে চীনের ওই ছেলের পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর ওই ছেলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে আমরা তাকে আমাদের দেশে আসতে বলি এবং দেশের সব আইন মেনে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতে পারিবারিকভাবে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। জামাই অনেক ভালো ও শান্ত স্বভাবের। আমার মেয়েকে জামাই চীনে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন।

চার নম্বর সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্লা বলেন, চীন থেকে এক যুবক গয়েশপুর গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারের একটি মেয়েকে ইসলামিক শরিয়তের মাধ্যমে বিয়ে করেছে। এটা আমি শুনেছি এবং তাকে দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে মানুষ ভিড় করছে। মেয়ের পরিবারটি অন্তত দরিদ্র। তাদের পরিবার আর্থিকভাবে উন্নত হোক এবং তারা সুখে থাকুক, এটা কামনা করি।

আপনার মতামত লিখুন :