বিএনপি-জামাত সব সময় হত্যা-খুনের রাজনীতি করে এসেছে: শেখ পরশ

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২৩

বিএনপি-জামাতের হত্যা, ষড়যন্ত্র, অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজ ৩০ জুলাই, ২০২৩খ্রিঃ, রবিবার, বিকাল ৩টায়, মহাখালী কাঁচা বাজারে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-বিএনপি-জামাত সব সময় হত্যা ও খুনের রাজনীতি করে এসেছে। জামাতকে বিএনপি রাজনীতিতে এনেছে, মন্ত্রী বানিয়েছে। এরপর তারা ১৫ আগস্টে গণহত্যার মতোই একটি পরিবারের, বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৮ জন মানুষকে হত্যা করেছে। এরপরও তারা লেবাস পরে। আমরা নাকি দোষারোপ করি। আমরা নাকি নিপীড়নের রাজনীতি করি। তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এবং সব মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, ঠিক তখন তারা তাদের সেই পুরোনো চরিত্র উন্মোচন করছে।

তিনি আরও বলেন-আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়নি। যে দলে নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, তারা কখনো সাধারণ মানুষের উপর চড়াও হতে পারে না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সারাজীবন মানুষেল অধিকার আদায়ের জন্য জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার। তিনি আরও বলেন-একটি দলই এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা। তারা হলো বিএনপি-জামাত। তারা এখন ভিসানীতির আওতায় পড়ার ভয়ে আছে। নিজে যখন মরব, তোরে নিয়াই মরব। এই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। আপনারা সজাগ থাকবেন, সতর্ক থাকবেন। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবেন। তাই বলচে চাই, আগামী নির্বাচনেও আপনারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। এই শান্তি যারা নষ্ট করতে চেয়েছে যারা, তাদের কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে। আগামীকাল বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে। কিসের বিক্ষোভ? হামলা করলেন আপনারা, সমাবেশ করলেন আপনারা। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। তাই, আগামীকালও আমরা যুবলীগ মাঠে থাকবো।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ এনামুল হক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, ডা: আওরঙ্গজেব আরু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাকিল আহমেদ তানভীর কাজী মিরাজুল ইসলাম ডলার, শেখ মারুফ হোসেন, জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, ছাবের আহমেদ, সাইদুর রহমান আবিরসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

আপনার মতামত লিখুন :