প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেমিপাকা ঘর পেয়ে খুশির মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২১

উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়ায় (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কিছুদিন আগেও ছিলোনা খুশি আক্তার নামের এক নারীর মাথা গোজার ঠাঁই। কুয়াকাটা মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে গভীর রাতে আগুনে পুড়ে যায় তার বেঁচে থাকার শেষ সম্বল বসতঘরটি। একমাত্র কন্যা সন্তান অষ্টম শ্রেনীতে পড়–য়া আদুরীকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। ভাঙাচুড়া ঘরে শীতের মধ্যেও কষ্টে রাত যাপন করতে হয় মা ও মেয়ের। এমনকি বৃষ্টির সময় ভিঁজে পুরে থাকতে হয়েছে তাদের। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সেমিপাকা ঘর বরাদ্দ পেয়ে সামান্য আয়ের এই নারীর মিলেছে মাথা গোজার ঠাঁই।

জানা গেছে, স্বামী বাড়িতে স্থান না হওয়ায় ২০০৭ সালে তার বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। সেখানেই সে বসবাস শুরু করে। আয়ের জন্য বেঁচে নেয় হাঁস পালন। মেয়ে আদুরীকে নিয়ে খুব স্বাচ্ছন্দে চলছিল ছোট একটি সংসার। হঠাৎ করে গত ঈদের আগের রাতে তার বসত ঘরটি অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেমিপাকা ঘর বরাদ্দ পেয়ে এখন খুশির মুখে হাসির ঝিলিক। ইতোমধ্যে ঘর নির্মান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন জন প্রসাশন মন্ত্রলয়ের অতিরিক্ত সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এ ঘরটিতে থাকছে রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা।

খুশি আক্তার লায়লা বলেন, ঘরটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল পৃথিবীতে আমার চেয়ে অসহায় আর কেউ ছিলনা। কোনোদিন কল্পনা করতে পারিনি আমি পাক ঘর পাবো। দোয়া করি আল্লাহতায়লা যেন প্রধান মন্ত্রীকে সুস্থ রাখেন। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো.নাসির মাহামদু বলেন, তার বসতঘরটি আগুনে পুড়ে গেছিল। সে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সেমিপাকা ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। এখন তারা সুন্দর ও ভাল ভাবেই বসবাস করতে পারবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ উপজেলায় মোট ৪৫০ টি নির্মান করা হচ্ছে। বর্তমানে নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :