গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলায় নারী-শিশু ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে আরো ১০৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ত্রাণের সন্ধানে থাকা বহু মানুষ রয়েছেন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু গাজা সিটির আল-সাবরা মহল্লাতেই কয়েকদিন ধরে চলা হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩২ জন ছিলেন ত্রাণসন্ধানী।
আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খৌদারি জানিয়েছেন, গাজা সিটিতে এখন মানুষ একরকম খাঁচায় বন্দি। বোমা হামলা থেকে বাঁচতে তারা যেখানেই যায় হামলা যেন তাদের অনুসরণ করছে। একই সঙ্গে খাদ্য ও ত্রাণের অভাবে মানুষ অনাহারে মরছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মারা গেছেন আরো ১৩ জন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অনাহারে মারা গেছে ৩৬১ জন।
মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে আল-মাওয়াসি এলাকায় পানির লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্তত ২১ জনকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৭ শিশু। অথচ এ এলাকাকেই আগে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বলেন, “মানুষ পানির জন্য দাঁড়িয়ে ছিল, তখন সরাসরি টার্গেট করে তাদের হত্যা করা হয়।”
সর্বশেষ হামলায় দুজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৭০ জনের বেশি সাংবাদিকের নিহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :