আমি কোন মাদক ব্যবসায়ী,সন্ত্রাসী কিংবা চাদাঁবাজ নই: মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৩২ রাত

বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি ৮৬ হাজার ভোট পেয়েছিলাম মাত্র ২ ঘন্টার ভোটের সময়ে। এবার যদি ৮ ঘন্টা সময় পাই তাহলে কি পরিমানে ভোট পাবো সেটা আপনারাই বলেন। কারন এখানে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। যদি আপনারা আমাকে ৪ লাখ ভোট প্রদান করেন তাহলে আল্লাহ ছাড়া কারও কোন ক্ষমতা নেই যে আমাকে হারাবে। অনেকে প্রশ্ন করেন, আমাকে কেন ভোট দিবেন। আমি বলবো আমাকে এ কারনে ভোট দিবেন যে,আমি কোন মাদক ব্যবসায়ী,সন্ত্রাসী কিংবা চাদাঁবাজ নই।

আমি চল্লিশ বছর যাবত ইমামতি করে আসছি। শুক্রবার ২৮ নভেম্বর বাদ আসর ফতুল্লাস্থ চৌধুরীবাড়ি পারিবারিক কমিউনিটি প্রাঙ্গনে ফতুল্লা ইউনিয়ন জমিয়তে ইসলাম আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি হারুনুর রশিদ,হাফেজ মো.হানজালা,মাওলানা মুনওয়ার হোসাইন,হাফেজ ক্বারী শাহজাহান খান সাঈদ,মাওলানা কামাল হোসাইন দায়েমী,মো.মোশরারফ হোসাইন,ফতুল্লা থানা জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম এর সভাপতি মাওলানা মোফাজ্জল ইবনে মাহফুজ প্রমুখ।

মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী আরও বলেন,বিগত সময়ে এখানে যে প্রতিনিধি ছিলেন তিনি কথায় কথায় বলতেন খেলা হবে খেলা হবে। আরে রাজনীতি হচ্ছে মানুষের সেবার জন্য কোন খেলার জন্য নয়। যদি আপনারা আমাকে আসছে নির্বাচনে জয়লাভ করান তাহলে আমি অন্তত ফতুল্লা অঞ্চল হতে মাদক,চাদাঁবাজি,সন্ত্রাসসহ যাবতীয় অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করে দেবো। তিনি বলেন,এ এলাকার সবচেয়ে দুর্ভোগের নাম হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আমি কথা দিচ্ছি নির্বাচিত হয়ে আগামী ৫ বছরের মধ্যে এখানকার জলাবদ্ধতা দুর করবো। আর যদি দুর করতে না পারি তাহলে অবশ্যই আগামী ৫ বছর পর আপনাদের কাছে আসতে সাহস পাবোনা। আমি চাই আপনাদের মুল্যবান ভোটের মাধ্যমে আমি সেবক হিসেবে পাশে থাকতে।

প্রধান বক্তা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ আসনের প্রার্থী চুড়ান্ত হবে। যদি জোট থেকে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী সাহেবকে দেয়া হয় তাহলে অবশ্যই বিএনপির যারা মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন তারা কাজ করবেন। যদি কাসেমী সাহেব না পান তাহলে তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় থাকবেন। প্রতিটি সমাবেশে আপনারও এ কথাগুলো বলবেন যেমনটা আমরা বুক ফুলিয়ে বলছি। জোট যদি কাসেমী সাহেবকে মনোনয়ন দেন তাহলে আপনারা অবশ্যই তার পক্ষে কাজ করবেন। কারন বিগত সময়ে দেখেছি যে মনির হোসাইন কাসেমী সাহেবকে বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষোভে কেউ মাঠে ছিলেন না। কারন সে সময়ে ভয় ছিলো ফ্যাসিষ্টের। কিন্তু আপনাদেরকে বলতে চাই বর্তমানে দেশে কোন ফ্যাসিষ্ট নেই।

Link copied!