করোনাকে থোড়ায় কেয়ার: শৈলকুপায় পোশাকের দোকানে উপচে পড়া ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি

প্রকাশিত : ১৯ মে ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ ছিল দোকান-পাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। ঈদকে সামনে রেখে সীমিত আকারে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গার্মেন্টস দোকান, বিপনী বিতান সহ সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। ঘোষনা দেওয়ার পর থেকেই উপজেলায় স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বেচা-কেনা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। গত ১০ মে থেকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষনা দেওয়া হয়। কিন্তু ৯ মে থেকে শৈলকুপায় শুরু হয় ধুমছে বেচা-কেনা।

সীমিত আকারে বলা হলেও পুরোদমে খুলতে শুরু করে দোকান পাট। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পৌর শহরের পাইলট স্কুল মার্কেট, জনতা ব্যাংক মার্কেট, মদিনা সুপার মার্কেট, লালন সুপার মার্কেট, বিশ্বাস সুপার মার্কেট, মদিনা সুপার মার্কেট, আলহাজ্ব মার্কেট ও ব্রীজ রোড মার্কেট সহ ফুটপাত দোকানগুলোতে পোশাক, জুতা স্যান্ডেল ও কসমেটিকস কিনতে ভীড় করছে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। সরেজমিনে এসব মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বেচা-কেনা করছে ব্যবসায়ীরা। সামাজিক দুরত্ব না মেনে দোকানে পাশাপাশি বসে পোশাক কিনছেন সাধারন ক্রেতারা। অনেক দোকানে মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লভস পরছেন না ক্রেতারা। পোশাক কিনতে আসা সাধারন ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন মার্কেট বন্ধ থাকায় জরুরি অনেক কিছুই কিনতে পারেন নি। এ কারণে বাধ্য হয়ে বাজারে এসেছেন নিজের ব্যবহারী কিছু মালামাল কিনতে। আর ক’দিন পরেই ঈদ। বুঝতে পারছি মার্কেটে আসা স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক।

কিছু তো করার নেই। অন্যদিকে ব্যাংগুলোতে ঘুরে দেখা যায় একই ভয়াবহ চিত্র। অধিকাংশ গ্রাহকদের মুখে নেই মাস্ক ও সামাজিক দুরত্ব রক্ষা চিত্র চোখে পড়েনি। সামাজিক দুরত্ব বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কাছে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি এবিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে জানান, সব দায়িত্ব থানার ওসিকে দেয়া হয়েছে, তিনি সব কিছু দেখভাল করছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :