কলাপাড়ায় অস্বাভাবিক জোয়ারে লোনা পানিতে ডুবে গেছে ১৭ গ্রাম

প্রকাশিত : ২০ মে ২০২০

কলাপাড়া॥ সুপার সাইক্লোন আমফানের প্রভাবে আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে মহাবিপদ সঙ্কেতের প্রচার চালাতে গিয়ে হাফেজপ্যাদার খালে পড়ে ডুবে নিখোঁজ রয়েছে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৬নম্বর ইউনিট টিম লিডার সৈয়দ শাহআলম (৫০)। তাকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। নৌকায় করে তাঁরা চারজনে প্রচার করছিলেন। সকালের অস্বাভাবিক জেয়ারে লালুয়ার বাঁধ ভাঙ্গা জনপদ রাবনাবাদ পাড়ের ১৭ টি গ্রাম ডুবে গেছে। লোনা পানিতে সব সয়লাব হয়ে আছে গোটা এলাকা। রাস্তা, বাড়ি, পুকুর সব পানির নিচে রয়েছে।

আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ওখানকার তিন শতাধিক মানুষ চারিপাড়া সাইক্লোন সেল্টারে রাত থেকে অবস্থান করছে। ঝড়ো হাওয়ায় মানুষ শঙ্কিত রয়েছেন। সেখানকার ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম জানান, জোয়ারের পানিতে সব ভাসছে। সাড়ে তিন শ’ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। কিন্তু নদীরপাড়ে ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে এই আশ্রয়কেন্দ্রটি। এনিয়ে মানুষ শঙ্কায় রয়েছে। মানুষের বাড়িঘর সব ডুবে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। কলাপাড়া উপজেলার পায়রা বন্দরসহ, কুয়াকাটাসহ গোটা এলাকার মানুষ এখন আমফান আতঙ্কে রয়েছে। রাত থেকে থেমে থেমে প্রচন্ডবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইছে। কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের বাইরের দোকানিরা তাঁদের মালামাল নিয়ে নিরাপদে ছুটছে। ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, ১৬৩ আশ্রয় কেন্দ্রে ৭২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

তবে স্থানীয়দের ভাষ্য অনুসারে হাজার পাঁচেক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সত্যতা মিলেছে। কুয়াকাটায় সাগর ভয়াল উত্তাল রয়েছে। সৈকত পারের অন্তত ৬০০ দরিদ্র পরিবারকে সেখান থেকে প্রশাসন নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে। প্রবীণ মানুষের দাবি এই সময় ঝড়ের গতিপ্রকৃতি দেখে তারা বুঝতে পেরেছেন এটি একটি বড় ধরনের বিপজ্জনক সাইক্লোন। তবে স্থানীয় মানুষের সতর্কতা মেনে চলার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ অনেক বেশি সচেতন রয়েছে। ধুলাসারের চাপলী বাজারের বাসিন্দা রানা হাসান জানান, নির্মানাধীন স্লুইসের গেট না থাকায় জোয়ারের লোনা পানিতে ডুবে গেছে খাল-বিল। জলোচ্ছ্বাসে হাজারো বাড়িঘর ডুবে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কলাপাড়ার গোটা উপকূলের তিন লাখ মানুষ রয়েছেন অজানা আতঙ্কে। সূত্র : দৈনিক জনকন্ঠ

 

আপনার মতামত লিখুন :