ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কলাপাড়া নীলগঞ্জ বসত ঘরের ব্যাপক ক্ষতি মানবেতর জীবন যাপন

প্রকাশিত : ৩ জুন ২০২০

নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন) কলাপাড়া পটুয়াখালী।। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃস্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এটি গত ৫ ই মে বুধবার বাংলাদেশ ও ভারতের উপর দিয়ে অতিক্রম করে। এসময় কলাপাড়ার নীলগনঞ্জ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড এ আম্পানের তান্ডবে বসত ঘড়ের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ক্ষতি গ্রস্ত পরিবার গুলো এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।

এরা হলেন: ছলিমপুর গ্রামের দুলাল মাতবর, মাহতাব প্যাদা,ইসাহাক মিয়া, মোস্তফাহাং, সানাউল্লাহ হাং, গবিন্দচোধুরী,নওয়াব আলী হাং অনিল বিশ্বাস, হোসেন খাঁ, আঃ রবগাজী, আব্বাস গাজী, হাবিব হাং, সানু মিয়া, সালাম হাং, মহব্বত আলী হাং, নীলগঞ্জ গ্রামে ঝন্টু মাতব্বর, জসিম বেপারী, গিয়াস গাজী, বাহাদুর হাং, দেলোয়ার হাং, ইসমাইল আকন, নীলগঞ্জ আবাসন এবং নবাব গঞ্জ গ্রামে গৌতম হাওলাদার সহ আরো নাম না-জানা বহু বাড়ি সহ কিছু কিছু ঘর পুর্ন ও বেশির ভাগ গুলোই আংশিক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়।

১নং ওয়ার্ড এর সুলতানগঞ্জ গ্রামে সুলতানগঞ্জ হাফিজিয়া মাদ্রাসা, সলিম পুর গ্রামে শত বছরের পুরনো উত্তর ছলিম পুর জামে মসজিদ, পশ্চিম ছলিম পুর জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা, এবং নবাবগঞ্জ হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সার্বজনীন বাংলাদেশ সেবাশ্রম আংশিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়।

উল্লেক্ষ্য ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তি যে কালবৈশাখী ঝড় ও অতি প্রবল বৃষ্টি হাওয়ার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ছলিমপুর গ্রামের হতো দরিদ্র হোসেন খাঁ অশ্রু সিক্ত নয়নে বলেন মুই এই বার গুরাগারা (ছেলে-মেয়ে) লইয়া কই থাকমু কইতে পারিনা তয় সরকার যদি মোরে একখান ঘড় দেতে তায় একটু শান্তিতে থাকতে পারতাম। হোসেন খাঁর মতো আরও অনেকেই শোক বিহ্ববল হয়ে সরকার এ-র কাছে সহায়তার  আবেদন জানিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন :