তিন শিশু কন্যার দিকে তাকিয়ে বাঁচতে চাই চুয়াডাঙ্গার তিতুদাহ খেঁজুরতলা গ্রামের তেজাউল

প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০২০

তারেক জাহিদ, ঝিনাইদহ: ভাঙ্গাচোরা বেড়ায় ঘেরা শোবার ঘর। জোছনার চাঁদ ও দিনের আলো উকিঁ দেয় সেই ভাঙ্গ দিয়ে। স্যাঁত স্যাঁতে উঠোন। ঝোপঝাড়ে আবৃত্ত ছোট্র ওই বাড়িতেই ৩ মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন তেজাউল। ফসুফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু তার হাতছানি দিয়ে ডাকে সর্বক্ষন। টাকার অভাবে পিতার এই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু যাত্রা দেখে ৩ শিশু কন্যা।

কিন্তু কিছুই করার নেই পিতার জন্য। সহায় সম্পদ বলতে ওই ভিটে বাড়িটুকুই। হতদরিদ্র তেজাউলের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার তিতুদাহ ইউনিয়ের খেঁজুরতলা গ্রামে। তার পিতার নাম ছনু মোল্লা। সংসারে অভাব থাকলেও শান্তির কমতি ছিল না ছুনু মোল্লার পরিবারে। হঠাৎ অসুস্থতার কারণে চিতিৎসকের কাছে যান। ধরা পড়ে ফুসফুসে ক্যান্সার। কিন্তু চিকিৎসার মতো কোন অর্থ নেই তেজাউলের।

বড় মেয়েটির বয়স মহিনার বয়স ১৪ বছর। তুহিনার ১০ ও তানিয়ার ৭। পিতার এই অবস্থা দেখে তাদের মন ভাল নেই। পড়ালেখা বন্ধ। নেই সংসারে আয় রোজগার। পিতার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে। কোথায় পাবে এতো টাকা ? গ্রামের অনেকের সহযোগিতায় তেজাউল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এখন তার কোন অর্থ নেই। নিজে বাঁচতে না পারলে শিশু তিন সন্তান আশ্রয় হারাবে। তাদের চিন্তায় বিভোর তেজাউল। খেঁজুরতলা গ্রামের মোঃ মুজিবর রহমান ও মোঃ হাসান জানিয়েছেন তেজাউলের চিকিৎসায় যদি সমাজের দানশীল বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন তবে পরিবারটি ঘুরে দাড়ানোর সুযোগ পাবে। তেজাউলের সঙ্গে যোগাযোগ ০১৯৪০-৫৩৭৯২৭ (বিকাশ)।

 

আপনার মতামত লিখুন :