কলাপাড়ায় মধ্য রাতে সরকারী পুকুরের মাছ উধাও

প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০২০

ইমন আল আহসান, প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভোররাতে খাস পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যান ভ‚মি অফিসের নাজির । মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে পৌর শহরের থানার পিছনে অবস্থিত সরকারি এ পুকুরটির মাছ ধরেন ভ‚মি অফিসের নাজির মিহির কুমার দে। বিষয়টি জানা জানি হলে এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভ‚মি অবগত আছেন বলে তাঁরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তবে মধ্যরাতে মাছ ধরার সময় নির্ধারন, কি পরিমান মাছ ও কতো টাকা বিক্রী হয়েছে তার সঠিক কোন সন্তোষ জনক তথ্য জানাতে পারেননি উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে বেশ কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে পৌর শহরের থানার পিছনের সরকারি খাস পুকুরটির মাছ ধরা শুরু করেন নাজির মিহির কুমার দে।

প্রায় ভোর পর্যন্ত নাজির মিহীর কুমার দে’র নেতৃত্ব বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা চলে। এবং প্রত্যুষের পূর্বেই আহরিত মাছ বিক্রী করা হয়। এ বিষয়ে কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভ‚মি)অফিসের নাজির মিহির কুমার দে বলেন, ’শ্রমিকরা দিনে ব্যস্ত থাকায় তারাই মাছ ধরার জন্য রাত তিনটার ওই সময় নির্ধারন করেন। যাতে সকালের বাজারে মাছ বিক্রী করা যায়। তিনি আরও বলেন, ’শুধুমাত্র দেড় মন পাঙ্গাস ধরা হয়েছে। তবে কত টাকা বিক্রী হয়েছে তা এখনও শ্রমিকরা জানায়নি।’

কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, ’মাছ ধরার বিষয়টি তিঁনি জানেন। নাজির সাহেব তাঁকে জানিয়ে মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে মাছ ধরেন। মাছ বিক্রীর কত টাকা হয়েছে তাকে এখনও জানানো হয়নি।’ কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ’এসি ল্যান্ড আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। মাছ বিক্রীর টাকা দিয়ে অন্য ২/৩টি খাসপুকুরের কচুরিপানা পরিস্কার করার কথা তিঁনি বলেছেন। তবে আমার বাসায় কোন মাছ পাঠাতে তাঁকে আমি নিষেধ করেছি।’

 

আপনার মতামত লিখুন :