কুষ্টিয়ায় কিশোরী গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু: পরিবারের দাবি- হত্যা

প্রকাশিত : ২৮ জুন ২০২০

‘আপনার মেয়ে (রিশিতা) আমার ঘাড়ের বোঝা হয়ে গেছে। তাই আপনার মেয়েকে দিলে একেবারেই দিয়ে দিব’- কথাগুলো রিশিতার মা জলি খাতুনকে মৃত্যৃর ঠিক একদিন আগে মোবাইল ফোনকলে বলেছিল জামাই রাকিবুল ইসলাম রকি। অথচ সাতমাস আগেও রিশিতার প্রতি কী ভালোবাসাটাই না জমেছিল প্রতারক রাকিবুলের হৃদয়-মননে।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রিশিতা। এ সময় উচ্চ শিক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা থাকলেও সহপাঠি রাকিবুল ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কিশোরী রিশিতার। বয়:সন্ধিকালের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে তাদের গোপন প্রেমের কথা বন্ধু ভেবে মাকে জানায় রিশিতা। তাদের বিয়ের জন্যও মাকে চাপ দেয়। প্রথমে মা বোঝানোর চেষ্টা করলেও অবুঝ রিশিতার পাথররূপী মন থেকে যেন প্রতিবিম্ব হয়ে ফিরে আসে মায়ের কথাগুলো।

এদিকে, বিয়ের জন্য রিশিতাকে একপ্রকার মানসিক চাপে ফেলে প্রেমিক কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের উত্তর মূলগ্রামের গাফ্ফার মোল্লার ছেলে রাকিবুল। অনেকটা ছেলে পক্ষের চাপাচাপিতেই রিশিতা-রাকিবুলের প্রেম পরিণত হয় শুভ পরিণয়ে। অবশেষে দুই পরিবারের মতেই দেওয়া হয় বিয়ে।

শ্বশুর-শ্বাশুরিকে নিয়ে ভালোই চলছিল রিশিতা-রাকিবুলের ছোট্ট সংসার। এর মাঝে ঘষেটি বেগম হয়ে আর্বিভূত হয় ভাসুর শরীফুল ও তার বউ সীমা! রিশিতার ওপর শ্বশুর-শ্বাশুরির অতিরিক্ত আদর সহ্য হচ্ছিল না শরীফ-সীমা দম্পতির। জের- বিয়ের একমাসের মধ্যেই অশান্তি সৃষ্টি হয় রিশিতার সংসারে। অনুসন্ধানে এমনটিই উঠে আসে কিশোরী গৃহবধু রিশিতার রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে দৈনিক অধিকারের এক অনুসন্ধানে।

এদিকে মৃত্যুর শুরু থেকেই বলে রিশিতার পরিবার বলে আসছে- এটি আত্নহত্যা নয়- এটি পরিকল্পিত হত্যা। তাদের মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের উত্তর মুলগ্রামে। নিহত কিশোরীর বাবা রিকু পারভেজ একই উপজেলার কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

আপনার মতামত লিখুন :