সীমান্ত পেরোতে ৫০ লাখ টাকার চুক্তি করেন শাহেদ

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০২০

চার দিন ধরে সাতক্ষীরায় মাছের ঘেরে লুকিয়ে ছিলেন আলোচিত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম ওরফে মো.শাহেদ। এছাড়া সীমান্ত পারাপারের জন্য ৫০ লাখ টাকার চুক্তি করেন তিনি। সাতক্ষীরা থেকে বুধবার ভোরে শাহেদ করিমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন। সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পাওনাদারদের জাল টাকা দিয়ে প্রতারণা করতেন তিনি। গ্রেফতারের পর হেলিকপ্টারে করে শাহেদকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

এরপর তাকে নিয়ে তার উত্তরার বাসায় অভিযান চালানো হয়। বাসা থেকে জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদের বিষয়ে বুধবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। র‌্যাবের প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে পুলিশের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানিয়েছ্নে, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে প্রদান করা করোনা সার্টিফিকেটের বেশিরভাগ ছিল ভুয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। র‌্যাবের অভিযানের আগে বেশ কিছু মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।

আলোচিত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম ওরফে মো. শাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদের প্রতারণার অন্যতম সহযোগী গ্রুপটির এমডি মাসুদ পারভেজেরও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এছাড়া শাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুলের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে গত বুধবার (১৫ জুলাই) সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট দেয়াসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে গত ৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব। সেই মামলায় মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন আট আসামি।

আপনার মতামত লিখুন :