করোনাকালে সামান্য বিস্কুটে শিক্ষার্থীদের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০২০

বাগেরহাট প্রতিনিধি :করোনাকালে সামান্য বিস্কুটে এক ঝাঁক ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মুখে ফুটিয়েছে হাসির ঝিলিক। বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় করোনা কালিন সময়ে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও সরকারের সময় উপযোগী নিদের্শনায় প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিস্কুট বিতরণ করছেন আর আর এফ কর্মীরা।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ”দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি” বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম সমূহের মধ্যে অন্যতম। বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলা সহ অপর দুইটি উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন (আরআরএফ) দীর্ঘদিন ধরে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে কাজ করে চলেছে।

সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে,বর্তমানে করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এমতবস্থায় স্কুলগামী প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কুল ফিডিং প্রকল্পের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমীন খানের সময় উপযোগী এই নিদের্শনা বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিস্কুট বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: শাহানাজ পারভীনের অনুমতি ক্রমে উপজেলার ৭৮ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ১১,২৯৭ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ৪০ প্যাকেট করে বিস্কুট পৌঁছে দিচ্ছে আরআরএফ এনজিও বাগেরহাট জেলা মনিটরিং এন্ড রিপোটিং অফিসার উজ্জল কুমার রায়ের নেতৃত্বে ফকিরহাট উপজেলার ফিল্ড মনিটর উত্তম হালদার, তুষার কান্তি ঘোষ ও শফিয়ার রহমান। এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আরআরএফ এনজিওর বাগেরহাট জেলা সম্ময়কারী তাপস কুমার সাধু বলেন দেশের এই দুর্যোগের সময় এমন একটি মহতী উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় সহায়ক হবে।

স্কুল বন্ধ থাকলে ও বাড়িতে বসে বিস্কুট পেয়ে এই দারিদ্র পীড়িত এলাকার শিক্ষার্থীদের মুখে যেন মেঘ ভাঙ্গা রোদের হাসির ঝিলিক ফুটেছে। সরকারের এই সময় উপযোগী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন মহল।

আপনার মতামত লিখুন :