মহিপুরে মেম্বর কর্তৃক ইউপি সচিব লাঞ্চিত

প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০২০

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের (নজিবপুর) ইউপি সদস্য আব্দুস সোবাহান কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুর রাজ্জাককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্য কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লাঞ্চিতের একটি ভিডিও শুক্রবার (১৭ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এঘটনায় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সচিব আব্দুর রাজ্জাক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে দ্রæত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, ৪০ দিনের কর্মসূচি (সিবিসি) এর কাজের একটি চেক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইউপি সদস্য সোবাহান মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুর রাজ্জাককে জনসম্মুখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করেন। মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুর রাজ্জাক বলেন ১৫ জুলাই বুধবার দুপুর ২টায় ইউপি সদস্য সোবাহান হাওলাদার ইউনিয়ন পরিষদে এসে তার কার্যালয়ে ঢুকে ৪০ দিনের কর্মসূচির চেক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে। সচিব আরও বলেন,তাকে যে চেকের জন্য লাঞ্চিত করেছে আদৌ সেই বিষয় তিনি কিছুই জানেন না। এ লাঞ্চিতের ঘটনায় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রসিদ মিয়া বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার আমার উপরে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। খুব দ্রæতই তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুস সোবাহান হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি সচিবকে কোন লাঞ্চিত করিনি এবং যেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটি একেবারে অসত্য। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বলেন, আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রসিদ মিয়াকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অচিরেই তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :