শ্রীমঙ্গলে মা-ছেলের মৃত্যু : পিবিআই তদন্ত শুরু

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই ২০২০

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : শ্রীমঙ্গলে ইসলামপুর (সিন্দুরখান) গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের ধরে সৎ ভাই, বোন ও ভ্রাতুসপুত্রদের পৃথক পৃথক হামলায় মোঃ হাসান মিয়া (২০) ও তার মা মায়া বেগম (৬০) মৃত্যুর পৃথক ঘঠনায় (জি আর মামলা নং- ৩৭৮/১৯ (শ্রী) ও শ্রীমঙ্গল থানার মামলা নং- ০১, তারিখ ঃ ০১/১২/২০১৯ইং) অবশেষে পুলিশ হেডকোয়াটার্স এর নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), মৌলভীবাজার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ হেডকোয়াটার্স এর নির্দেশে (স্বারক নং- ২২০২/ভি, তারিখ ঃ ২২/০৬/২০ইং) এসআই (নিঃ) মোঃ বশির মোল­¬াকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

মামলার বাদী মোঃ জাফর জানান- মামলা নং- ৩৭৮/১৯ (শ্রী) মামলায় বিগত ১৫/০৩/২০২০ইং মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, ১নং আমলী আদালতে ঘঠনার মূল রহস্য উদঘাটন ও অজ্ঞানাতনামা আসামীদের শনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করার লক্ষ্যে আসামী পারভীন বেগমের ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করেন (স্বারক নং- ৮৮৭, তারিখ ঃ ১৮/০৩/২০২০ইং) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মোহাম্মদ আল আমিন। অপরদিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে আটক পরভীন বেগম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের দরখাস্ত করেন।

কিন্তু, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ( জিআর-৩৭৮/১৯ (শ্রী) মূল নথিতে পুলিশের রিমান্ডের আবেদন সংশি¬¬স্ট কাগজাত দেওয়া হয়নি। মায়া বেগম এর সুরতহাল রির্পোটে মারামারিতে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হইয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কারণ উলে¬¬খ থাকা সত্তেও পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়নি। একই ভাবে গত ২০১৯ সালের ৯ ফেব্র“য়ারী উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের লাল টিলা বস্তির চৈতন মুন্ডার বাড়িতে প্রকাশ্যে সৎ ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন বেগমের ভাই রিপন মিয়া, তার ভ্রাতুসপুত্র জয় মিয়া ও এলাকার নাঈম মিয়া মিলে ভাই হাসান মিয়া (২০) এর উপরে আক্রমণ রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘঠনায় শ্রীমঙ্গল থানার (মামলা নং- ০১, তারিখ ঃ ০১/১২/২০১৯ইং) দায়ের করা হয়।

ঘটনার ১৫ দিন পর অর্থাৎ ২৫ ফেব্র“য়ারী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান মৃত্যু বরণ করেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), মৌলভীবাজার এর এসআই (নিঃ) মোঃ বশির মোল¬া জানান- পুলিশ হেডকোয়াটার্স এর নির্দেশে মায়া বেগম এর মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এখনও পোস্টমর্ডেম রির্পোর্ট এখনও আসেননি। হত্যা মামলা এখনও হয়নি। থানায়ও মামলা রেকর্ড করেনি।

 

আপনার মতামত লিখুন :