মুক্তিযোদ্ধাসহ ২০টি পরিবার বাড়ি ফেরার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : ১ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হলেও প্রতিপক্ষের অত্যাচারে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না মুক্তিযোদ্ধাসহ ২০টি পরিবার।মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বাড়ি ফেরার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিশু খালিদ ও রিফাত হত্যা মামলার আসামী মুক্তিযোদ্ধা বাদশা তালুকদার।

মঙ্গলবার(০১ সেপ্টেম্বর)দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা বাদশা তালুকদার বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিবেশী কাউছার তালুকদার ও তার ভাই মান্নান তালুকদার আমাদেরকে ফাসাতে এবং এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে তাদের দুই সন্তান খালিদ ও রিফাতকে হত্যা করে।পরবর্তীতে খালিদ হত্যা মামলায় কাউছার তালুকদার আমাদের পরিবারের ১৯ সদস্যের নামে মামলা দেয়।রিফাত হত্যা মামলায়ও আরও ১৬ জনের নামে মামলা দেয়।দুটি মামলায় আমরা আসামীরা জেল খেটেছি। বর্তমানে আমরা বেশিরভাগ আসামী জামিনে বের হয়েছি। কিন্তু বাদীদের অত্যাচারে বাড়িতে ফিরতে পারছি না। সত্য কখনও চাপা থাকে না। রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাট কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে রিফাত হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেন।

প্রেসব্রিফিংয়ে সংস্থাটির খুলনা বিভাগীয় প্রধান বিশেষ পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান মিয়া জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় একই বংশের প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে রিফাতুল তালুকদারকে হত্যা করে রিফাতের চাচাতো ভাই ইকবাল তালুকদার ও সাকিব তালুকদার।মান্নান তালুকদারের ভাইয়ের ছেলে ইকবাল, সাকিব ও আত্মীয় হাফিজুর রহমান ছোট আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।এটা দিনের মত স্পষ্ট যে আমাদেরকে ফাসাতে রিফাতকে হত্যা করেছে তার পরিবার।তারপরও রিফাত হত্যা মামলার আসামীদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিচ্ছেন না পুলিশ। আমাদেরকে ফাসাতে খালিদকেও একই ভাবে হত্যা করেছে তার পরিবার।

মুক্তিযোদ্ধা বাদশা তালুকদার আরও বলেন, দুটি হত্যা মামলায়-ই আমরা সকল আসামীরা জামিনে আছি।কিন্তু কাউছার তালুকদার ও তার ভাই মান্নান তালুকদারসহ তাদের ক্যাডাররা আমাদেরকে এলাকায় যেতে দেয় না। বরং আমাদের বাড়ি-ঘর, ঘের, পুকুর লুট করেছেন। এখনও আমাদের মৎস্য ঘের তারা দখল করে আছেন।আমরা যেকোন ভাবে বাড়িতে ফিরতে চাই। নিজের ভিটায় থাকতে চাই পরিবার পরিজনকে নিয়ে। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা বাদশা তালুকদারের স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী মেরিনা বেগম, কালাম তালুকদার, মমতাজ বেগম, সৈয়াদুর রহমানসহ পরিবারের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :