অর্ধশতাধিক খাল দশমিনায় মৃতপ্রায়

প্রকাশিত : ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার অভ্যন্তরে ছোট বড় প্রায় অর্ধশতাধিক খাল এখন মৃতপ্রায়। খননের অভাবে ওই সব খালে পানি প্রবাহ কমে গিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেচের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ। তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী থেকে এসব খালের উৎপত্তি হয়।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষি জমিতে পানি সেচ এবং পণ্য পরিবহনের কাজে খালগুলো ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এসব খাল পুনঃখনন এবং সংস্কার না করার কারণে তলদেশ ভরাট হয়ে মরে যাচ্ছে। ফলে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় খালগুলো এখন সরু শুকনো নালায় পরিণত হয়েছে। দশমিনা-কালাইয়া খাল দিয়ে এক সময়ে ছোট বড় নানা ধরনের নৌযান চলাচল করত। এই খালটির বর্তমান অবস্থা এতটাই শোচনীয় ভাটার সময় বিন্দু পরিমাণ পানি থাকে না। এই খাল দিয়ে দশমিনা উপজেলার দোকানীসহ সাধারণ মানুষ পণ্য পরিবহন করত।

কৃষিকরা জমিতে সেচ দিত। দশমিনা-বাউফল খালটিই ছিল সারাদেশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগের একমাত্র রুট। বরিশাল, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই খাল দিয়ে পণ্য আনা নেয়ার কাজ করত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এই খালটির বিভিন্ন স্থানে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে পণ্য পরিবহনের কাজ। গছানী-বগী খালটিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক খাল এখন মৃতপ্রায়। কিন্তু সময়ে বিবর্তনে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে এই খালটি দিয়ে পণ্য এবং যাত্রী পরিবহন।

মৃতপ্রায় এই খালটিতে শুকনো মৌসুমে একটুও পানি থাকে না। খালে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা এখন মৃতপ্রায়। জরুরী ভিত্তিতে এসব খাল খনন করা না হলে অচিরেই খালগুলোর অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। বিপর্যয় ঘটবে কৃষি ক্ষেত্রে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, অনেক খালই আমাদের ফোল্ডারভুক্ত নয়। যে সব খাল আমাদের ফোল্ডারভুক্ত নয় সেই সব খাল ফোল্ডারভুক্ত করার কাজ চলছে এবং তার পাশাপাশি বেশ কিছু খাল খননের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃ দাঃ) শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলোকে খনন করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে আমরা উপজেলার খালগুলো খননের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।

আপনার মতামত লিখুন :