ফেনীর সোনাগাজীতে অপহরণের নাটক সাজিয়ে পরিবার থেকে টাকা দাবি

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ফেনীর সোনাগাজীতে নিখোঁজের ১৩ দিন পর রেদোয়ান আহমেদ নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের অভিযোগ পেয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। কিন্তু অপহরণ নয়, রেদোয়ান স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়ে তার বাবার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে চট্টগ্রামে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়েছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। রেদোয়ান সোনাগাজীর আল হেলাল একাডেমীর সপ্তম শ্রেণি ছাত্র।

রেদোয়ানের স্বজনরা জানান, গত ২৯ আগস্ট বিকেলে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে খেলতে যায় রেদোয়ান। সন্ধ্যার পর সে আর বাসায় ফেরেনি। এরপর তার আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। গত কয়েকদিন ধরে পরিবারের লোকজন তাকে ফেনী-ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সম্ভাব্য সকল আত্মীয়দের বাসা-বাড়িতে খুঁজে কোথাও না পেলে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় তার বাবা বাদী হয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

রেদোয়ানের বাবা বলেন, রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে ও রাতে দুটি নম্বর থেকে ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মুঠোফোনে এক লোক তার কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আরও একটি নম্বর থেকে তার কাছে বিকাশে ২৪ হাজার টাকা চাওয়া হয়। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়ে নম্বরগুলো দেন। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, রেদোয়ানের বাবার কাছে মুক্তিপণ বাবদ টাকা চাওয়ার বিকাশ নম্বরগুলো তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই করে অবস্থান ও মালিকের নাম নিশ্চিত করা হয়। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো. সাইফুদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চট্টগ্রামের পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়।

পরে তারা মুক্তিপণ বাবদ বিকাশ নম্বরে ২৪ হাজার টাকা পাঠান। এসময় টাকা আনতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে স্কুলছাত্র রেদোয়ান। পরে তাকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে রেদোয়ান স্থানীয় এক যুবকের যোগসাজশে চট্টগ্রামে গিয়ে আত্মগোপন করে বাবার কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য অপহরণের নাটক সাজিয়ে মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবী করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম থেকে তাকে সোনাগাজী মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রেদোয়ানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আপনার মতামত লিখুন :