শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে দশমিনায় প্রতিমা তৈরির ধুম

প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর ২০২০

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগরদের দম ফেলার সময়টুকু নেই। কয়েক দিন বাদেই প্রতিমার গায়ে পড়বে রঙের আঁচড়। উপজেলায় ১৬মন্দিরে চলছে বাঁশ-কাঠ আর কাদা মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার নেহলগঞ্জ দূর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীর লোকজন দীর্ঘ বছর ধরে এই মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মহাপঞ্চমী দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু। আর মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপে মন্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব। প্রতিমা তৈরির কারিগর দেড় মাস পূর্ব থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত ৩টি মন্দিরের প্রতিমার সেট তৈরি করেছেন। প্রতি সেটে দুর্গার সঙ্গে থাকে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও ল²ী প্রতিমা। বর্তমানে একসেট প্রতিমা তৈরি করতে বাঁশ, কাঠ, কাদা মাটিসহ প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম অনেক বেশি। তাই আমাদের লাভ কম হচ্ছে।

উপজেলা দুর্গাপূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবাষিশ মজুমদার (রতন) বলেন, উপজেলায় এ বছর ১৬মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিটি মন্দিরে আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন কাজকর্ম শুরু করেছেন। দেবীর আগমন ও প্রস্থান হবে ঘোড়ায় চড়ে। উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট উত্তম কুমার কর্মকার জানান, আশা করি শতশত ভক্তের উপস্থিতিতে নলখোলা মন্দিরে প্রতিমা বিসর্জন উৎসব হবে। আর নিরাপত্তার ব্যাপারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিবছরের ন্যায় থাকবেন।

থানা ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা মন্ডবে নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য মোতায়ন থাকবেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :