মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২০

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: বসতবাড়ি দখল, মিথ্যা মামলা ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছোট ভাই সায়েক চৌধুরী। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম কচি। লিখিত বক্তব্য সায়েক চৌধুরী, পিতাঃ ইলিয়াছ মিয়া ওরফে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, মাতাঃ আনোয়ারা বেগম, গ্রাম কনকপুর (বড় বাড়ি), উপজেলা ও জেলাঃ মৌলভীবাজার। হাং সাং ঃ ওয়ার্ড নং ৪, হোল্ডিং নম্বর ৪৩, শান্তিবাগ, মৌলভীবাজার পৌরসভা। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি বংশদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। ২ ভাই ২ বোন। বোন হাছনা বেগম চৌধুরী ও হাফসা বেগম চৌধুরী বিবাহিতা এবং তাদের পরিবার নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন।

মাতা আনোয়ারা বেগম তার সাথে লন্ডনে বসবাস করছেন। সোহেলুর রহমান উরফে শোয়েব চৌধুরী তার বড় ভাই। বড় ভাই সোহেলুর রহমান উরফে শোয়েব চৌধুরী বিভিন্ন সময় ৫টি নাম (শোয়েব চৌধুরী, সোয়েলুর রহমান, যোয়েলুর রহমান, মোঃ ছমেদ ছৌধুরী ও সুহেল আহমদ) ব্যবহার করে প্রতারণা করছেন। গত ২৭-০৮-২০১২ইং তারিখে তার পিতা ইলিয়াছ মিয়া ওরফে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী লন্ডনে বসবাসরত অবস্থায় মারা যাওয়ার পর থেকে পিতার রেখে যাওয়া বাংলাদেশের সকল সম্পত্তি বড় ভাই সোহেলুর রহমান উরফে শোয়েব চৌধুরী দেশে আসা যাওয়ার সুবাধে দেখা শোনা করতেন। উলে­খ্য যে, সোহেলুর রহমান উরফে শোয়েব চৌধুরী’র নামে শান্তিবাগস্থ বাসায় ৩ শতক এবং পশ্চিম বাজার জরিনা ম্যানশনে ১.৬৪ শত জায়গা দিয়ে যান।

তিনি আরো জানান- গত ৩০-০৪-২০১৮ইং তারিখে আমি ও আমার মাতা দেশে এসে শান্তিবাগস্থ বাসার ৩তলা ফ্লাটে এবং কনকপুরের বাড়িতে অবস্থান করি। পরবর্তীতে আমরা শান্তিবাগস্থ বাসার (৫তলা ১৪টি ফ্লাট সংবলিত) ভাড়া আদায় করতে গেলে বাসার কেয়ারটেকার ভাড়ার টাকা আমাদের দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কেয়ারটেকারকে ভাড়া না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে আমাদেরকে সোহেলুর রহমান উরফে শোয়েব চৌধুরী’র সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে মোবাইলে বড় ভাই সোহেলুর রহমান উরফে শোয়েব চৌধুরী’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পুরো বাসাটাই উনার।

আমার আম্মা পূনরায় বাসা ভাড়া আদায় করতে গেলে ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভাড়া আদায়ে বাধা দেন। পরবর্তীতে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সোহেলুর রহমান উরফে শোয়েব চৌধুরী গত ২২-০৬-২০০৬ ইং তারিখে গোপনে ২৭৫৩নং জাল ও ভুয়া একটি দলীল উনার নামে তৈরি করেন। তখন আমার পিতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। পরবর্তীতে আমার মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ০৪-০৬-২০১৮ইং তারিখে মাননীয় যুগ্ন জেলা জজ ১ম আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন (মোকদ্দমা নং ৫৬/১৮ইং স্বত্ত)। ২৫-০৩-২০ইং তারিখে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের এবং ১৩-০৮-২০ইং তারিখে চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ মৌলভীবাজার সদর বরাবরে একটি দরখাস্ত জমা দেয়া হয়। গত ০৭-১১-২০২০ইং তারিখে আমি বাংলাদেশে আসি।

প্রবাসে থাকার সুবাধে আমার বড় ভাই সোহেলুর রহমান উরফে শোয়েব চৌধুরী কনকপুর বড় বাড়িস্থ আমাদের বসত বাড়ি ও কৃষি জমি জোরপূর্বক দখল করে ভোগ করছেন। তাছাড়াও কনকপুরস্থ মাসুক ফিলিং ষ্টেশনের আমাদের অংশের ভাড়া, সেন্ট্রাল রোডস্থ জরিনা ম্যানশন এর মাহিব ট্রেডার্স এবং কুসুমবাগস্থ হারুন ফার্মেসীর পাশের আমাদের দোকান ফ্রেশ মিটের ভাড়া জোরপূর্বক তোলে নিচ্ছেন। আমি গত ১২-১১-২০২০ইং তারিখে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি (এস এল নং ১৮৯৫)। তাছাড়া গত ১০-১১-২০২০ইং তারিখে উপরের বিষয় গুলো উলে­খ করে এবং সহযোগীতা চেয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবরে একটি আবেদন দিয়েছি। আমি যাতে দেশে না আসতে পারি এবং আমার সম্পত্তি দেখাশোনা করতে না পারি সে জন্য আমার নামে ২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে নন জিআর ৪০/১৮ (সদর) বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে নিস্পত্তি হয়েছে। অপর মামলা নন জিআর ১৪৭/১৯ (সদর) আদালতে চলমান রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :