স্বামীকে কিডনি দান করে স্ত্রী বললেন “বাঁচলে একসাথে বাঁচব মরলেও এক সাথে মরব”

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: ভালোবাসা অমর। তা আবারো প্রমাণ করলো ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম হরিশপুর গ্রামের গৃহবধু সেতু খাতুন। বিয়ের পর স্বামীকে ভালোবেসে কথা দিয়েছিলেন বাঁচলে একসাথে বাঁচব, মরলে একসাথে মরব। তার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। মৃত্যুপথ যাত্রী স্বামীকে একটি কিডনি দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তারা ঢাকার শ্যামলী সিকেডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা গেছে, হরিশপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আনসার সদস্য রাশিদুল ইসলাম ৩ মাস পুর্বে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হলে তার কিডনি সমস্যা ধরা পরে।

পরে খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে পরীক্ষার পর তার ২ টি কিডনি বিকল হয়ে পড়ে বলে চিকিৎসকরা জানায়। তাই দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। মধ্যবিত্র পরিবার কিডনি কিনে তা প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন লাখ লাখ টাকা। যা কখনো রাশিদুলেল পরিবারের পক্ষে জোগানো সম্ভব নয়। ফলে হতাশায় পড়েন তার পরিবার। ভাগ্যক্রমে রাশিদুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর কিডনি মিলে যায়। ভালোবাসার মানুষটিকে বাঁচাতে কিডনি দিতে রাজী হন স্ত্রী সেতু খাতুন। গত ১২ নভেম্বর রাজধানীর শ্যামলী ৩ নং সড়কের সিকেডি কিডনি হাসপাতালে তাদের অপারেশন করা হয়। ওই দিন বিকাল ৪ টার দিকে অপারেশন শুরু হয়। রাত ৯ টায় সফল অপারেশন। বর্তমানে স্বামী ও স্ত্রী দুই জনই সুস্থ আছে।

মোবাইলে স্ত্রী সেতু খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পরিবার থেকে বিয়ে দিয়েছে। বিয়ের পর আমি তাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমাদের ভালোবাসা আর ২ বছরের ছেলে সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আমি তাকে কিডনি দিয়েছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন সুস্থ থাকি। সাড়ে ৩ বছর আগে পারিবারিক ভাবে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রাশিদুরের সাথে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের হবিরর রহমানের মেয়ে সেতু খাতুনের বিয়ে হয়।

 

আপনার মতামত লিখুন :