গলাচিপায় শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমছে দাম

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে দাম কমছে শীতের সবজির। অন্যান্য সবজির দামও কমেছে। তবে পেঁয়াজ ও আলুর দামে স্বস্তি ফেরেনি। সরকারের বেঁধে দেয়া দামের তোয়াক্কা না করে আগের দামেই আলু বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দাম কমেছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মূলার। এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহ শীতের সবজির দাম কমলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে শিমের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শিমের দাম তিনভাগের একভাগে নেমেছে। এদিকে গত সপ্তাহের মতো এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

তবে কিছুটা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। গত সপ্তাহে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগীর দাম বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে। শুক্রবার পৌর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১২০ টাকা কেজি। শিমের পাশাপাশি শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দামও কমেছে। মাঝারি সাইজের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৫০ টাকা। ছোট ফুলকপি গত সপ্তাহের মতো ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে ছোট ফুলকপির দাম ৪০ টাকার ওপরে ছিল। মাঝারি আকারের বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৫০ টাকা। আর ছোট বাঁধাকপির পিস ২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

দুই সপ্তাহ আগে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মূলা এখন ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। শীতের সবজির দাম কমার সঙ্গে অন্যসব সবজির দামও কমেছে। গত সপ্তাহে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো ১০০ টাকায় নেমে এসেছে। বাজারে নতুন আসা কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। বাজারে নতুন আসা শীতের আরেক সবজি শাল গমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। আর চড়া দামে বিক্রি হওয়া লাউয়ের দাম কিছুটা কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে চলে এসেছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। তবে গাজর ও বরবটির দাম আগের মতোই চড়া রয়েছে। বাজার ও মান ভেদে গাজরের কেজি আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

বরবটি গত সপ্তাহের মতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে এবং উস্তে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে ঢেড়স, ঝিঙা, পটল, শিম, কচুর লতি। এদিকে সরকার দু’দফায় দাম বেঁধে দিলেও এখন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। সরকার প্রথমে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা এবং পরবর্তীতে ৩৫ টাকা বেঁধে দেয়। তবে সরকারের বেঁধে দেয়া এই দামে ক্রেতারা আলু কিনতে পারছেন না।

আলুর সঙ্গে বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে পেঁয়াজের জন্যও। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন ৬৫ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আমদানি করা বড় পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ আগের সপ্তাহের মতো এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। পৌরসভার সিনেমা হল রোডের কাচা বাজার ব্যবসায়ী মজিবর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মূলা সবকিছুর সরবরাহ বেড়েছে।

এর সঙ্গে নতুন করে শাল ও কাঁচা টমেটো আসতে শুরু করেছে। যে কারণে সবজির দাম কমছে। সামনে সবজির দাম আরও কমবে। ১২০ টাকার শিম এখন ৩০ টাকা হয়েছে। কিছুদিন পর শিমের কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা হবে। পৌরসভার টিএনটি রোডের রাজ্জাক মল্লিক নামে এক ক্রেতা বলেন, শিম, ফুলকপির দাম কিছুটা কমেছে। এতে ভালো লাগছে। তবে পাকা টমেটো ও গাজরের কেজি এখনো ১০০ টাকা। বরবটি, বেগুনের কেজি ৫০ টাকার ওপরে। এসব সবজির দাম না কমা পর্যন্ত সবজির বাজারে স্বস্তি আসবে না। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। তবে ৬৫ টাকার নিচে দেশি পেঁয়াজের কেজি মিলছে না।

 

আপনার মতামত লিখুন :