স্বপ্নের ঠিকানায় কারিগরী বিদ্যালয়ের উদ্বোধন

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে বাংলাদেশ-চায়না টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) নামে একটি কারিগরী বিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ১৩২০ মেগওয়ার্ড পায়রা তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভ‚মি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য নির্মান করা হয় “স্বপ্নের ঠিকানা’’ নামে স্থায়ী পূনর্বাসন কেন্দ্র। এর ভিতরে প্রায় ৫ একর জমি উপর বিদ্যালয়টি নির্মিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার এ বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রমের ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (বিসিপিসিএল) এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ.এম খোরশেদুল আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিসিপিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিষ্টার চি, বিসিপিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার মামুনুর রহমান মন্ডল এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মাষ্টার আবুল কালাম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোসাম্মৎ সুমনা আক্তার ও মো. জিহাদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। বিসিপিসিএলের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মওলা এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকর্তাগন, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইনিষ্টিটিউটটিতে প্রাথমিক পর্যায়ে কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল এই তিন ট্রেডে ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। পর্যায়ক্রমে এখানে ভাষা শিক্ষা সহ আরো বিভিন্ন কোর্স চালু করার মাধ্যমে স্থানীয়দের কারিগরিভাবে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

বাংলাদেশ-চায়না টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের (সিসিটিআই) অধ্যক্ষ মো. আব্দুস ছালাম বলেন, বিদ্যালয়টিতে বিনা বেতনে পাঠদান করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবছর দুই সেট করে পোষাক দেয়া হবে। এছাড়া বিনামূল্যে বই দেয়া হবে। যাঁরা ফলাফল ভালো করবে, তাঁদের মেধা বৃত্তি দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে সৎ চরিত্রবান হয়, নিয়মানুবর্তি হয় সেসব বিষয় নিয়েও তাঁদের সাথে কাউন্সিলিং করা হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ শিক্ষামূলক সকল কার্যক্রম এ বিদ্যালয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (বিসিপিসিএল) এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ.এম খোরশেদুল আলম বলেন, এ বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা দেয়া হবে। দেশের উন্নয়ন করতে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। এখান থেকে যে শিক্ষার্থী বের হবে তারা কারিগরি জ্ঞান নিয়ে বের হবে। এখানের ছেলে মেয়েরা চারটি ভাষা ও কারিগরি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। তারা বিদেশে গিয়ে ভাষা নিয়ে জটিলতায় পরবে না বলে ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন :