কুয়াকাটা পৌরনির্বাচনের রেশ: মাদরাসা ভেঙ্গে নিতে বাধ্য করলেন জমিদাতা

প্রকাশিত : ৯ জানুয়ারি ২০২১

কুয়াকাটা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনের রেশধরে জমি দাতার ২৪ ঘন্টার আল্টি মেটামে মাদ্রাসা ভেঙ্গে অন্যাত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হলেন মাদ্রাসা কমিটি। শনিবার সকাল ৭টায় ৪২ হাত দৈর্ঘ্য এবং ১২ হাত প্রস্থের মাদরাসাটির টিনের ঘর ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পরে ওইদিন দুপুরে একই গ্রামে মসজিদের সামনে স্থানীয়রা মাদ্রাসার জন্য জমি বরাদ্ধ করে মাদ্রাসা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কুয়াকাটারপাশর্^বর্তি লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরাএলাকার বাহামকান্দা গ্রামে এমনঘটনায় লোকজনের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার হামেদ গাজী নামে জনৈক ব্যক্তি খাজুরা বাহামকান্দা খাইরুন্নেছা মডেল মাদরাসার অনুকূলে ৩০ শতকজমি দান করেন। গত পনের দিন আগে দানকৃত জমিতে স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তায় একটি টিনের ঘর তুলে মাদরাসার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে আঃ বারেক মোল্লা হেরে যাওয়ায় তার ভাই লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা ওই মাদ্রাসার সভাপতি থাকায় দাতা হামেদ গাজী মাদ্রাসার জমি দিতে অস্বীকৃতি জানান। হামেদ গাজী পৌর নির্বাচনে নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের সমর্থক ছিলেন।

এ বিষয়ে স্থাণীয় মজিদ মাঝী বলেন, মাদরাসার জন্য হামেদ গাজী জমি দিয়ে নিজের ইচ্ছে মত প্রধান শিক্ষক নিয়োগসহ মাদ্রাসার কমিটি পরিবর্তনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এতে মাদ্রাসা কমিটি রাজি না হওয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাদ্রাসা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়। অন্যথায় মাদ্রাসা ঘর নিজেই ভেঙ্গে ফেলার হুমকী দেন। এমন হুমকী দেবার পর মাদ্রাসা কমিটি বাহামকান্দা জামে মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্থানীয়রা মসজিদের সামনে ১৫শতক জমি দান করেন। শনিবার সকালে নতুন জায়গায় মাদ্রাসা ঘর স্থানান্তর করেন স্থানীয়রা সকলে মিলে। জমি দাতার এমন আচরণে স্থানীয়রা হতভাগ হয়ে যান।

এবিষয়ে লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, জমি দাতা তার জমি থেকে মাদ্রাসা ঘর সরিয়ে নেয়ার জন্য বললে স্থানীয়রা সকলে মিলে জমি দান করে ওই জমিতে মাদ্রাসা ঘর নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। পৌর নির্বাচনের জেরে জমি দাতা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকরা হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :