যশোরের মণিরামপুর বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নিহত

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

যশোরের মণিরামপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নুরুল হক কেরু নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টা ৪০ মিনিটে উপজেলার বেগারিতলা সর্দার নার্সারির পাশে ঘটনাটি ঘটে। কেরু স্থানীয় ভোজগাতি গ্রামের মৃত মাজেদ গাজী বক্সের ছেলে।তার বিরুদ্ধে মণিরামপুরসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির ১০টি মামলা রয়েছে। সে পেশাদার ডাকাত নামে পরিচিত। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান সুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।

এই ঘটনায় মণিরামপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মণিরামপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই রাজু আহম্মেদ বলেন, সাতক্ষীরা এলাকার ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনতা গণপিটুনি দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেরু ও তার সহযোগী শফিকুলকে কেশবপুরের চিংড়াখালি ক্যাম্প পুলিশে সোপর্দ করে। তখন পুলিশ কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে তাদের। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে অস্ত্র ও অন্য সহযোগীতের সন্ধান দেয় কেরু।

কেরুর সহযোগীরা মণিরামপুরের ভোজগাতি শ্মশানে থাকত। রাতেই কেরুকে নিয়ে শ্মশানে অভিযানে রওয়ানা হয় কেশবপুর ও মণিরামপুর থানার যৌথ টিম। রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে পুলিশ বেগারিতলার সর্দার নার্সারির সামনে পৌঁছুলে কেরুর সহযোগীরা রাস্তায় গাছ ফেলে পুলিশের গতিরোধ করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয় এবং সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয় কেরু। রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এএসআই রাজু আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান সুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি। ডিউটি অফিসারের সাথে কথা বলেন। মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :