প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর রক্ষা করতে জেলা প্রশাসনের তাৎক্ষনিক উদ্যোগ গ্রহণ

প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০২১

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া ঘরে কিছুটা ফাটল দেখা দেয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক ভাবে আশ্রয়ন প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ঐ প্রকল্পটি টিকিয়ে রাখতে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রকল্প রক্ষা করার জন্য প্রকল্পের চতুর দিকে টিনের বাউন্ডরী করে আশ্রয়ন প্রকল্পটি রক্ষা করতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঐ বাউন্ডারীর বাইরের অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিওব্যাগ ফেলে দিচ্ছে।

ভবিষ্যতে যেন কখনো ঐ প্রকল্পে আর কোন ক্ষতির ঝুঁিক না থাকে সে জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের দক্ষিন পাশে ৮ ফিট গভীর করে কলাম করে নুতন ভাবে প্রকল্পের রক্ষার জন্য ঘর নির্মাণ করছেন। শরীয়তপুর পানি উন্নয়নবোর্ড সেখানে রাত দিন অবিরাম কাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান, শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আহসান হাবীব, গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তানভির আল নাসিফ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তাহমিনা আকতার চৌধুরী, থানা ওসি সোহেব আলী মোল্যা প্রমূখ।

জানা যায়, গোসাইরহাটের ইদিলপুর ইউনিয়নের ঐ প্রকল্পে মহিষখালী মৌজায় ৬৭ শতাংশ জমির ওপর ২২ টি ঘর নির্মাণ করে তাদের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ, গভীর নলকুপসহ সকল ধরনের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আর যাতায়তের জন্য ইদিলপুর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাস্তা ও সাকো নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উপকারভোগীদের মাঝে ঐ ঘর গুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। ইদিলপুরের এ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন, গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হুসাইন ও সদস্য সচিব ছিলেন, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তাহমিনা আক্তার চৌধুরী। কিন্ত এই আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর জমি নির্ধারণে কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে এবং মাটি ভরাটের সাথে সাথে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করায় ছয় মাসের মধ্যেই মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া ঘরে কিছুটা ফাটল দেখা দেয়। তবে ঐ ঘর রক্ষা করতে জেলা প্রশাসন তাৎক্ষনিক ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এব্যাপারে ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন শিকারী বলেন, এ প্রকল্পটির সবকটি ঘরের নির্মাণ সামগ্রী মানসম্মত ছিল। কোন রকম ভেজাল বা ত্রæটি ছিলনা। তবে বালু মাটি ভরাট করে তাৎক্ষনিক ঘর নির্মাণ করায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাৎক্ষনিক ঠিক করে দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে গোসাইরহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তাহমিনা আক্তার চৌধুরী বলেন, এ জায়গা নির্ধারণ করাটাই কিছুটা ভুল ছিল। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবর্ষণের কারণে অনেক ধরনের সমস্যা হচ্ছে।

এরপরও আশ্রয়ণটি টিকিয়ে রাখতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি এরপর আর কোন ঝুকি থাকবেনা। এব্যাপারে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তানভির আল নাসিফ বলেন, ‘আমি সম্প্রতি ওই উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে প্রকল্পটি রক্ষার্থে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :