কঠোর লকডাউনে ঝিনাইদহে মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট তবুও বেড়েছে মানুষ ও যান চলাচল

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধের (লকডাউন) চতুর্থ দিনছিল সোমবার। বিধিনিষেধে রিকশা ছাড়া সব ধরনের যন্ত্রচালিত গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা। ঝিনাইদহ শহরে লকডাউনের চিত্রছিল ভিন্ন। ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় বিভিন্ন মোড় বা স্থানে পুলিশ চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তবুও বেড়েছে মানুষের চলাচল, তেমনই বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা।

চেকপোস্টে রিকশা-যানবাহন থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আবার মোবাইল কোট করে জরিমানা ও করা হচ্ছে। গত ৪ দিনে ঝিনাইদহে লগডাউন পালন হচ্ছে ঢিলেঢালা ভাবে। ব্যবসায়িরা দোকানের সামনে বসে গোপনে মামলামাল বিক্রি করছে। ঝিনাইদহ শহরসহ বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় ঘুরে দেখে গেছে, প্রায় সবগুলো সড়কেই আগের তিন দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত যানবাহন,ইজিবাইক, রিকশা, নছিমন,করিমন, আলমসাধু, সিএনজি ও মানুষের চলাচল বেড়েছে কয়েকগুণ। চেকপোস্ট গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে তৎপরতা ছিল সেটা তেমন দেখা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত ৩ দিনে অবৈধভাবে মানুষের চলাচল ও যান চালানোর কারণে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। তাছাড়া শহরের আরাপপুর সড়ক, মুজিব মোড়, হামদহ মোড়, পাগলাকানায় মোড়, মেইন বাসষ্টান্ডে ও মোবাইল টিমসহ বেশ কয়েকটি স্থানে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। চেকপোষ্টে পুলিশ তল্লাশি করছে। কিছুকিছু চেকপোস্টে অপ্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদেরকে জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে।

গাড়ির নামে মামলা হয়েছে, গুনতে হয়েছে জরিমানা। আরো জানা গেছে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন করে করোনা রোগি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গুরুতর করোনা রোগির জন্য রাখা হয়েছে সদর হাসপাতালের পুরোনো বিল্ডিং ও আইসলেশন হিসাবে ডাইরিয়া ওয়ার্ড ব্যাবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০০ থেকে সাড়ে ৫,শ করোনার ভ্যাকসিন গ্রহন করছেন সাধারন মানুষ। করোনার টিকা গ্রহনের জন্য সাধারন মানুষ অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার পাশাপাশি মোটর সাইকেলের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। মটর সাইকেলে ২/৩ জন করে চলাচল করছে।

এদিকে, বেশকিছু আবাসিক এলাকা ও অলিগলি ঘুরে দেখা যায়, মাস্ক ব্যবহার না করেই অপ্রয়োজনে অধিকাংশ মানুষ চলাফেরা করছে। এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়েনি। এসব এলাকার অলিগলিতে প্রায় প্রতিটি চায়ের দোকানই খোলা রাখা হয়েছে। প্রায় সব এলাকাতেই বিধিনিষেধ মানতে এমন অনীহা দেখা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে জনসমাগম। আর সন্ধ্যা থেকে পাড়া মহল্লায় দূরত্ব না মেনে চলে অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা।

 

আপনার মতামত লিখুন :