দশমিনায় গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ

প্রকাশিত : ১২ মার্চ ২০২০

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার গাছে গাছে মুকুলের সমাহার চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। সেই মধু বাতাসে মিশে যেমন সৃষ্টি করছে মৌ মৌ-গন্ধ তেমনি মানুষের মনকে বিমোহিত করে মধুমাসের আগমনী বার্তাও শোনাচ্ছে। “আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে মামার বাড়ি যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ, পাকা আমের মধুর রসে রঙিন করি মুখ।”

পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের কবিতার কথা গুলো বাস্তবে রূপ পেতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছেন, এবার স্বাভাবিক সময়ে মুকুল এলেও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের এলাকায় আম গাছগুলোতে এখন মুকুলে ভরে গেছে। আর চাষীদের আগ্রহের কারণে এ উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে আমের বানিজ্যিক চাষ।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। তবে বাগান মালিকরা বলছেন,আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল চোখে পড়ছে। আম গাছে মুকুলের সমারহ দেখে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে রঙ্গিন স্বপ্ন। ইতিমধ্যে সব গাছে মুকুলে ছেঁয়ে গেছে।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের বাগান মালিক কাজী আনিচ ও কাজী সরোয়ার জানান, বাগানের গাছগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে। মুকুল আসার পর থেকেই গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু হয়েছে। রোগ বালাইয়ের আক্রমন থেকে মুকুল রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাম্পার ফলন পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের লোকজনও সার্বক্ষনিক খোঁজ রাখছেন । উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম চাষি জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে তাই ফলন ভাল হবার সম্বাবনা রয়েছে এমনটিই আশা প্রকাশ করেন তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বনি আমিন খান জানান, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চাষীদের আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন পর্যায়ে বাগানের যতœ ও ফল বাজারজাতকরণের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে । আর আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আম চাষিরা লাভবান হবেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :