পরীমণি আটক: বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ, বাথরুমেও মিলেছে মদ!

প্রকাশিত : ৪ আগস্ট ২০২১

চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় থরে থরে সাজানো ছিল দেশি-বিদেশি হরেকরকম মদের বোতল। ছোট বড় এসব মদের বোতল পরীমনির ড্রইং রুম, বেড রুম এমনকি বাথরুমেও রাখা ছিল। বুধবার (৪ আগস্ট) বিকালের এই অভিযানে এলিট ফোর্স র‌্যাবের সদস্যরা হরেক রকম মদ জব্দ করে। এসময় তার রুম থেকে ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও আইস উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানান, তিনি মদে আসক্ত ছিলেন। হরেক রকম মদের বোতলে ‘মদ সেবন’ তার শখ ছিল।

এদিকে মাদকসহ নায়িকা পরীমনিকে আটকের পর র‌্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়েছে। রাত আটটা ১৫ মিনিটে তাকে র‌্যাবের সাদা রঙের কালো গ্লাসযুক্ত একটি হাইস গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় পরীমনি একটি চেকশার্ট পরা ছিলেন। এর আগে বিকেল ৪টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ আলোচিত নায়িকার বাসায় অভিযান শুরু করেন র‌্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে বাসা তাকে আটক করা হয়।

র‌্যাবের গোয়েন্দা দলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, পরীমনির বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদক-ইয়াবা-সোনার বার পাওয়া গেছে, তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে র‌্যাবের সদরদফতরে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে।র‌্যাবের অভিযান দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি। তিনি লাইভে অভিযোগ করেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন।

পরে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। র‍্যাবের একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সূত্রে র‍্যাব জানতে পেরেছে, পরীমণির বাসায় নারীদের নিয়ে নানান কর্মকাণ্ড হয়। তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। র‍্যাবের ওই সূত্র আরও জানায়, র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে গত ৮ জুন রাতে পরীমণি অভিযোগ করেন, ঢাকার অদূরে বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার চেষ্টা চালান। ১৩ জুন তিনি নাসির, তুহিন সিদ্দিকী ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন। সেদিনই নাসির ও তুহিনকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মামলার পরপরই উত্তরা থেকে নাসির ও তুহিনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে নাসির জামিনে থাকলেও তুহিন কারাগারে রয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন :