কুলাউড়ায় ফিসারীর মাছ লুঠ করার অভিযোগ

প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০২১

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের উচাইল গ্রামে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে গত ৮ আগষ্ট থেকে যোগাযোগীমূলে ৭৩শতক ভুমির উপর নির্মিত একটি ফিসারীর প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুঠ করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের বাসিন্দা পরেশ চন্দ্র দেব এর পুত্র প্রদীপ কুমার দেব, শক্তিপদ দেব এর পুত্র শতদল দেবগংদের বিরুদ্ধে।

এ ঘঠনায় প্রতিকার চেয়ে জরুরী সেবায়, ৯৯৯ ফোন করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী পরাশর দেব ও তার পরিবারের লোকজনদের। এ প্রতিবেদকসহ একাধিক সাংবাদিক এ ঘঠনার সত্যতা জানতে গত ৯ আগষ্ট সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফিসারী থেকে মাছ ধরে একটি সিএনজি ( মৌলভীবাজার-থ- ১২-০৩২৫) গাড়ী দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত লোকজন শতদল দেবগংদের নাম উল্লে¬খ করেন।

এবং একই ভাবে আগামীকালও মাছ ধরা হবে বলে নিশ্চিত করেন। পরাশর দেব অরো জানান- একই ভাবে গত ২৭জুন ভোররাতে মৎস খামারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। প্রভাব- প্রতিপত্তি দেখিয়ে ভূমি ও উক্ত ফিসারে অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা করতেছেন। মাছ নিধন এ ঘটনায় প্রদীপ কুমার দেবগংদের আসামী করে কুলাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তিনি আরো জানান- উল্লে¬খিত লোকজন অবৈধ ভাবে জাল দলিল সৃজন করিয়া অন্যায় ভাবে নিরীহ লোকজনদের হয়রানী করে আসছেন। তাদের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ এ আরো ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষন রায় বলেন- ঘটনাটি আমি ভালো করেই অবগত।

পরাশের চাচা ফিসারীটি লিজ নিয়েছিল, এর পর তিনি মারা যান। বর্তমানে লীজ গ্রহীতার ছেলে তাদের টাকা দাবী করছে। পরাশর দেব এর আগেও তার ফিসারীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ করেন। তিনি, বিভিন্ন লোকজন দিয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন। গত ৮ আগষ্ট জরুরী সেবা ৯৯৯ ( সময়- ২.১১) ফোন করেও সংশি¬ষ্ট কুলাউড়া থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি, এমন বক্তব্যে তিনি জানান- ৯৯৯ এর কোন ফোন আমার থানায় আসেনি। কিংবা অভিযোগকারী পরাশর দেব থানায় অভিযোগ করেনি।

আপনার মতামত লিখুন :