গলাচিপায় শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরুস্কার বিতরন

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০২১

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান হয়েছে। সোমবার সকাল ৯ টায় উপজেলা অডিটোরিয়াম হল রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমারের সভাপতিত্বে এসভা অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পূষ্পমাল্য অর্পন করেন উপজেলা প্রশাসন।

জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন আজ ১৯৬৪ সালের এ দিনে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে তিনি জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় এ হত্যাকান্ড থেকে সেদিনের অবুঝ শিশু রাসেলও রেহাই পইনি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধীকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তাই নরপশুরা নিষ্পাপ শিশু ইউনির্ভাসিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র শেখ রাসেলকেও রেহাই দেয়নি।

মন্ত্রি পরিষদ বিভাগে এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবছর থেকে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কনিষ্ঠ পূত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন শেখ রাসেল দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস অদম্য আত্মবিশ^াস। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. শাহিন শাহ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসার সন্তোষ কুমার দে, সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মস্তোফা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর রেজাউল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোঃ জহিরুনবী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা বেগম, উপজেলা পলি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব হাসান শিবলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন, গলাচিপা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয় প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন বন্ধুবৎসল, প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর এক মানসিক শিশু। ছোট বয়সের ব্যাক্তিত্ব মানসিকতা আর উপস্থিত বুদ্ধির কারনে শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু, কিশোর, তরুন, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালবাসার নাম। বেছে থাকলে তিনিও হয়তোবা সামিল হতেন বঙ্গ বন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন যেমন দেশের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে তিনিও নিঃসন্দেহে নিজেকে দেশের জন্য নিয়োজিত রাখতেন। বক্তারা কোমলমতী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরন করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :