উপকূলীয় জেলা বরগুনার পূর্বের ৩টি সংসদীয় আসন পুনঃবহালের জন্য নাগরিক মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত : ৪ ডিসেম্বর ২০২১

মাইনুল ইসলাম রাজু, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। সাগর ও নদী বেষ্টিত উপকূলীয় বরগুনা জেলার পূর্বের ৩টি সংসদীয় আসন পুনঃবহালের দাবীতে আমতলী পৌরসভার আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও নাগরিক প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) রাত ৯টার দিকে আমতলী পৌরসভা মিলনায়তনে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নাগরিক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাড. এমএ কাদের মিয়া, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান- ১ মোঃ মজিবুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি, সাবেক মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু, বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাড. মোঃ শাহজাহান মিয়া, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু, বরগুনা জেলা নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা, বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার, আখতারুজ্জামান বাদল খান, রফিকুল ইসলাম রিপন, আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক, অ্যাড.এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অ্যাড. মোঃ নুরুল ইসলাম মিয়া, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সহ- সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শাহজাহান কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ- সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম মৃধা, চাওড়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আহুরুজ্জামান আলমাস খান, রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি খান মতিয়ার রহমান, আওয়ামী লীগের নেতা হারুন অর রশিদ হাওলাদার, অ্যাড. হরিহর চন্দ্র দাস, অ্যাড. মনিরুজ্জামান মনি,অ্যাড. এম. ইসহাক বাচ্চু, তৈরী পোশাক বিক্রেতা সমিতির সভাপতি নুরুজ্জামান প্রিন্স, সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, জাকির হোসেন মোল্লা, জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ। এছাড়া শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অর্ধশতাধিক লোকজন ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বক্তরা বলেন, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্বাবোধায়ক সরকার সারাদেশে সংসদীয় আসন পুনঃবিন্যাশ করেন। ওই সময়ে বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলার সম্বন্বয়ে গঠিত ৩টি সংসদীয় আসন থেকে ১টি বাদ দিয়ে ৬টি উপজেলা নিয়ে ২টি সংসদীয় আসন করেন। যা এখনো বহাল রয়েছে। সাগর ও নদী বেষ্টিত এ জেলার মাঝখানে ২টি বড় নদী রয়েছে। আমতলী- তালতলী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা পায়রা (বুড়িশ্বর) নদী এবং পাথরঘাটা- বামনা উপজেলার উপড় দিয়ে বয়ে গেছে বিষখালী নদী। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ৪টি উপজেলার মানুষদের নদী পার হয়ে জেলা শহর বরগুনায় যেতে হয়। ওই ৪টি উপজেলায় বর্তমানে জনসংখ্যাও ৬ লাখের উপড়ে। বিপুল জনগোষ্ঠী এবং সাগর ও নদী বেষ্টিত উপকূলীয় এলাকা বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে বরগুনা জেলায় পূর্বের ৩টি সংসদীয় আসনসহ বরগুনা- ৩ (আমতলী- তালতলী) সংসদীয় আসনটি পুনঃবহালের জন্য ওই সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাছে আবেদন জানায়।

উল্লেখ্য বরগুনা জেলার পূর্বের তিনটি সংসদীয় আসন ফিরে পেতে সাবেক সংসদ সদস্য বরগুনা- ৩ (আমতলীÑ তালতলী) আলহাজ্ব অ্যাড. আব্দুল মজিদ মল্লিক, সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ মতিয়ার রহমান তালকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক মরহুম মোঃ মাহবুবুর রহমান নিরু তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম জিএম দেলওয়ার হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান, পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান, আমতলী রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাংবাদিকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে একাধিকবার লিখিত এবং আসন পুনঃবহালের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আবেদন করেও আসন বিন্যাশের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন থেকে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এছাড়া উদীচী শিল্প গোষ্টীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আসন বিনাশ্যের জন্য নানাবিধ কর্মসূচি পালন করেছেন। যা এখনো অব্যহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমতলীতে ওই নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :